অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: যুদ্ধের আগে ইউক্রেন প্রতি মাসে বিশ্ববাজারে ৬০ লাখ টন খাদ্যশস্য রফতানি করত। কিন্তু রুশ সেনারা দেশটির কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর অবরোধ করার কারণে মাসভিত্তিক রফতানি ১০ লাখ টনে নেমে আসে। তবে আগের অবস্থায় ফিরতে পারে ইউক্রেনের রফতানি; এমনই বলছে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মাসে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি ৫৪-৫৫ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গত মাসে দেশটি ৪৫ লাখ টন শস্য রফতানি করেছে। সে হিসাবে রফতানি বাড়বে প্রায় ১০ লাখ টন। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পড়তে পারেন: গম আমদানির পূর্বাভাস, অর্ধেকে নামতে পারে দাম

তথ্য বলছে, পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় সমুদ্রপথে রফতানি। ফেব্রুয়ারি-জুলাই পর্যন্ত দেশটি শুধু পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে স্থল ও রেলপথে স্বল্প পরিমাণ শস্য রফতানি করে।

ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খাদ্যশস্য রফতানিকারক দেশ। কিন্তু যুদ্ধের কারণে দেশটির রফতানিতে ধস নামায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে। লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে শস্যসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে জুলাইয়ের শেষ দিকে ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। তুরস্ক ও জাতিসংঘ এ চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে। এ চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় তিন বন্দর থেকে অবরোধ উঠিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। ফলে আবারো দেশটির খাদ্যশস্য রফতানি বাড়তে শুরু করেছে।

পড়তে পারেন: বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের বাজারদর লাগামহীন হয়ে উঠছে

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে ইউক্রেন ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য রফতানি করেছে। এছাড়া চুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি ৩৯ লাখ টন খাদ্যশস্য রফতানি করে। রফতানীকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে বেশির ভাগই ভুট্টা। সর্বশেষ সোমবার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৮০ টন কৃষিপণ্য নিয়ে ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে গিয়েছে চারটি জাহাজ।

দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় খাদ্যশস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রেখেছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এ বছর সব মিলিয়ে ৫ কোটি থেকে ৫ কোটি ২০ লাখ টন শস্য উৎপাদন হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ