অ্যালকোহলের পরিমাণ ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ হলে তবেই মরবে ভাইরাস। ছবি: শাটারস্টক।

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনার হাত থেকে বাঁচতে বার বার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। কিন্তু কতবার হাত ধোয়া যায়! বাড়ি থেকে সাবান পানি দিয়ে হাত দিয়ে ধুয়ে বের হলেও কখন আবার করোনা সংক্রমণ করে বসে তা তো বলা যায় না। প্রায় সকলেই কিনছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার।এখন আপনার কেনা হ্যান্ডস্যানিটাইজারে করোনা মরছে তো!

একটু স্প্রে করে নিলেই বা হাতে একটু লাগিয়ে নিলেই মনে শান্তি। কেউ ভাবছেন, ব্লিচিং পাউডার জলে গুলে বাজারের ব্যাগটা চুবিয়ে নিলেও তো হয়। কেউ ভাবছেন, বাজার থেকে ফেরার সময় স্যানিটাইজিং টানেল হয়েই তো এলেন। ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তা হলে তো আর নেই। সত্যিই কি তাই? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

মূলত হ্যান্ডস্যানিটাইজারের বিকল্প হিসেবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলছেন ভারতীয় চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী। তিনি বলেন, যাঁরা বাড়িতে রয়েছেন বেশির ভাগ সময় তাঁরা সাবান জলে হাত ধুলেই হবে। বার বার হাত ধুতে হবে, অন্তত আধ ঘণ্টা ৪০ মিনিট অন্তর। তাদের স্যানিটাইজার ব্যবহারের দরকার নেই।

আরোও পড়ুন: বিশ্বে ২ কোটি ছাড়াল করোনা আক্রান্ত

মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, সাবান দিয়ে হাত ধোওয়াই ভাল। তবে যাঁরা বাইরে বেরচ্ছেন, রাস্তায় তো সাবান জল দিয়ে হাত ধোওয়া সব সময় সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

আরোও পড়ুন: করোনার নতুন সঙ্গী গুলেনবারি সিন্ড্রোম

ডা: অমিতাভবাবু বললেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে, তাতে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল রয়েছে কি না। ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকলে তবেই সেই স্যানিটাইজার স্প্রে-তে কাজ হবে।তখন ভাইরাম মারা যাবে।তাছাড়া এর পরিমান কম হলে করোনা মরবে না।

অমিতাভবাবু সতর্ক করেন, বাজারে নানা রকম সুগন্ধী স্যানিটাইজার কিংবা স্প্রে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সবক’টাই যে ভাইরাসনাশক এমনটা কখনও নয়। বরং করোনা আবহের আগে যে সংস্থাগুলি স্যানিটাইজার বিক্রি করত, তাঁদের থেকে কেনাই ভাল। খানিকটা হলেও এতে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। এখন বাজারে এত রকম স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে, এতে বিভ্রান্তি বেড়ে চলেছে। এ বিষয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রশাসনকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

আরোও পড়ুন: যেভাবে মানুষের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়

আপনার কেনা হ্যান্ডস্যানিটাইজারে করোনা মরছে তো! শিরোনামে সংবাদের তথ্য আনন্দবাজর পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে।