ছবি: শাটারস্টক

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কীভাবে প্লাজমা নেওয়া হয় এমন প্রশ্ন অনেকের মনে। বেশ কয়েকবার রক্ত দিয়েছেন এমন মানুষও প্লাজমা দিতে নাকচ করেছেন। যেভাবে মানুষের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয় জানালে বিষয়টি স্বাভাবিক বলেই মনে হবে।

প্লাজমাফেরেসিস নামে এক বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে শরীর থেকে রক্ত টেনে নিয়ে প্লাজমা আলাদা করে রক্তের বাকি উপাদান (রক্তকণিকা ও অন্যান্য) শরীরে ফেরত পাঠানো হয়। সম্পূর্ণ পদ্ধতিটির জন্য সময় লাগে কম বেশি আধঘণ্টা। সংগৃহীত প্লাজমা একটি বিশেষ যন্ত্রে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক বছর সংরক্ষিত রাখা যায়। দরকার অনুযায়ী স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে রোগীকে দেওয়া হয়। প্লাজমা দানের ২৪–৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তা পূরণ হয়ে যায়।

আরোও পড়ুন:ভারতে এক লাফে আক্রান্ত সাড়ে ৬২ হাজার, ছড়িয়ে গেল ২০ লাখ

যাঁরা কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ থেকে সঠিক চিকিৎসায় সেরে উঠেছেন, তাঁদের প্লাজমা দান করতে অনুরোধ করা হয়। অনেকেই প্লাজমা দিতে রাজি থাকেন বলে জানিয়েছেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ দেবকিশোর গুপ্ত। তিনি বলেন, কোভিড থেকে সেরে ওঠা রোগীর প্লাজমায় সার্স কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিবডি থাকে। এই অ্যান্টিবডিই কোভিড আক্রান্তকে ভাইরাস-মুক্ত করতে পারে। তবে কোভিড অতিমারির সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নিয়ে এখনও শেষ কথা বলার সময় আসেনি, ভবিষ্যতেই জানা যাবে প্লাজমা থেরাপি সত্যিই কতটা কার্যকর, বললেন দেবকিশোরবাবু।

আরও পড়ুন: করোনাক্রান্তে ইতালিকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

ইন্টারন্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি ইতিমধ্যে তাঁর রোগীদের অনেককেই প্লাজমা থেরাপি দিয়েছেন। বিশেষ করে যে সব রোগীকে অন্য চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না, তাঁদের জন্য প্লাজমা থেরাপি বেশ কার্যকর। ইতিমধ্যে তিনি তাঁর ১০ জন রোগীকে প্লাজমা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে শ্যামাশিসবাবু বলেন, আইসিএমআর কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত মাঝারি মাপের উপসর্গযুক্ত রোগীদের প্লাজমা চিকিৎসার যে ট্রায়াল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নিয়ম মেনেই প্লাজমা দেওয়া হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যৎই বলবে, কোভিড অতিমারির মোকাবিলায় প্লাজমা চিকিৎসা কতটা কার্যকর।

যেভাবে মানুষের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয় শিরোনামে সংবাদের তথ্য আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে।