মৎস্য ডেস্ক, এ্রগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশে মৎস্য আমদানির সময়ে কোনো ক্ষতিকারক জীবাণু যেন না আসে তা ঠেকাতে নতুন আইন করা হয়েছে। ক্ষতিকারক জীবাণুর প্রবেশ ঠেকাতে নতুন এ আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২ জুলাই) তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘মৎস্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত আইনের অধীনে অনুমতি ছাড়া মৎস্যপণ্য আমদানি করলে সর্বনিম্ন এক বছর ও সর্বোচ্চ সাত বছর করাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মৎস্য আমদানির সময় কোনো ক্ষতিকারক জীবাণু যাতে না আসে তা ঠেকাতে কোনো আইন নেই, এজন্য নতুন আইনটা করা হচ্ছে।’

এই আইনের অধীনে একটি সঙ্গনিরোধী কর্তৃপক্ষ হবে, এই দায়িত্ব পালন করবে মৎস্য অধিদপ্তর।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল জানান, অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে মৎস্যের রোগ-জীবাণু অনুপ্রবেশ ও বিস্তার রোধকল্পে মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদির আমদানি নিয়ন্ত্রণ করাসহ কর্তৃপক্ষকে ১০টি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে মৎস্য বলতে সব প্রকার কোমল ও কঠিন অস্থিবিশিষ্ট মাছ, সাধু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজ প্রাণি, কচ্ছপ, কুমির, কাঁকড়া জাতীয় প্রাণি, শামুক বা ঝিনুক জাতীয় জলজ প্রাণি, ব্যাঙ বা সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত জলজ প্রাণিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পুলিশ, র‌্যাব, কাস্টমস, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ডাক বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রেলওয়ে, শিপিং এজেন্সিসহ সমজাতীয় এজেন্সিগুলোর কর্মকর্তা এই আইনের পরিপন্থি কার্যক্রম রোধ করতে পারবেন।

মন্ত্রী পরিষদের ঊর্ধতন এ কর্মকর্তা জানান, কোনো কোম্পানির পরিচালক, অংশীদার, ম্যানেজার বা অন্য কোনো কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়া মৎস্যপণ্য আমদানি করলে ব্যক্তির অপরাধের মতো একই সাজা পাবেন।

মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া কোনো আদালত এ সংক্রান্ত মামলা নেবে না। পুলিশও বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারবে না এবং মামলা হবে জামিনযোগ্য। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করতে পারবেন।

‘কোনো আমদানি অনুমতিপত্র গ্রহীতা সংক্ষুব্ধ হলে আদেশ পাওয়ার তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিকার চেয়ে কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে আপিল করতে পারবেন। আপিল দাখিলের তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে।’ সূত্র: বিডিনিউজ।