ছবি: এগ্রিকেয়ার২৪.কম

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গত দু-সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ভারত থেকে মোটা চালের আমদানির কারণে চালের দামে প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ ধকল সহ্য করতে হয়েছে। বছরজুড়ে ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু করেছেন, বেড়েছে বিক্রি। মহামারির ঢিলেঢালা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ফিরতে শুরু করেছেন ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক ব্যবসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরছে বলে আশা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।

নগরের সাহেববাজার মাষ্টারপাড়া এলাকার পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সুশিল স্টোর এগ্রিকেয়ার.কমকে জানান, গত ১৫ দিন ধরে চালের দাম বাড়েনি। ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া আরো বাড়তো চালের দাম।

সুশীল স্টোরের মালিক সুশীল জানান, আঠাশ চালের ৫০ কেজির বস্তা ২৮’শ থেকে ২৯’শ টাকা বস্তা টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শরনা ৪৫-৪৮, জিরাশাল ৫৮-৬০ টাকা ও বাসমতি ৬৮ টাকা, পায়জাম ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫, কাটারিভোগ সিদ্ধ ৮০ টাকা( দিনাজপুরী) ও লোকাল বাজারের কাটারিভোগ সিদ্ধ ৬৫ টাকা, কাজললতা ৬০, কালোজিরা ৯০, চিনিগুঁড়া আতপ ৯০, রাধুনি ৮০, মোটা আতপ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে ।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১) রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার, মনিচত্ব, কাদিরগঞ্জ চালের বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

খুচরা চাল বিক্রেতা এ.পি. চাউল ভান্ডারের সত্তাধিকারী প্রকাশ প্রসাদ এগ্রিকেয়ার.কমকে জানান, পাইকারী বাজারে চালের দাম তেমন বৃদ্ধি হয়নি। এছাড়া খুচরা বাজারে চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেননা আমরা যে দামে চাল কিনেছি তার তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাজারে চাল বিক্রি করছি। আবার পাইকারী বেশি দরে চাল কিনলে তখন খচুরা বাজারে চালের দাম বাড়বে বলে জানান এই বিক্রেতা।

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুন্ন তারা। করোনা মহামারিতে স্বাভাবিক জীবনব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। নিন্মমধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষরা চালের দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমলে বেশ সুবিধে হয়। এছাড়াও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ