সজিব ইসলাম,চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝরে পড়া কড়ালি আম দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বাজারের মোড়ে এই আম বিক্রি হতে দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার (২২এপ্রিল ২০২১) সকালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বাজারের মোড়ে এই কড়ালি আম দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা ওসব আম কুড়িয়ে দুই টাকা কেজি ধরে বিক্রি করছেন। তবুও ক্রেতার অভাবে এসব আম ভালো বিক্রি হচ্ছে না।

আম বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৈশাখের চড়া রোদে আমের বোঁটা নরম হয়ে যায়। এরপর একটু বাতাস হলেই ঝরে পড়ে গাছ থেকে। এই আম গ্রামের সাধারণ মানুষ কুড়িয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বাজারের মোড়ে দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

উপজেলার মোহননগর গ্রামের আমবাগান মালিক শফিউল আলম বলেন, আমার আমবাগানে প্রতিটি গাছে ব্যাপক আম ধরেছে। হঠাৎ প্রখর রোদ ও একটু বাতাসে আম ঝরে যাচ্ছে। ছোট ছেলে-মেয়েরা আম কুড়িয়ে দেড় থেকে দুই টাকা কেজিতে বিক্রি করছে।

উপজেলার ডাকরা এলাকার মুকিদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা বরাবর ঝরে পড়া কড়ালি আম কিনে ঢাকায় চালান করি। এই কড়ালি আম দেড় টাকা থেকে দুই টাকা দরে ক্রয় করছি।

একই এলাকার বিক্রেতা নবীর আলী বলেন, আমি বাগান পাহারা দিয়ে থাকি। মালিকরা মাচা তৈরি করার জন্য বলেছেন। সেই মোতাবেক কিছু কিছু বাগান পাহারা দেয়ার জন্য মাচা তৈরির কাজ শুরু করেছি। তবে এখন বাতাসে যে কড়ালি আম ঝরে পড়ছে, সেগুলো কুড়িয়ে বিক্রি করছি। বাগান মালিকরা এগুলোর টাকা নেয় না। দেড় থেকে দুই টাকা কেজি ধরে বিক্রি করছি এসব আম।

চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই এ অঞ্চলে বৃষ্টি নেই। ফলে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। তাপমাত্রাও দিন দিন বাড়ছে। অতিরিক্ত খরার কারণে কিছুটা আমের গুটি ঝরছে।

বাগানের মাটি শুকিয়ে গেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আচাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি আমাদের পরামর্শ নিয়ে চাষিরা লাভবান হবেন।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ