আম্পানের প্রভাবে যেসব স্থানে

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ১আম্পানের প্রভাবে যেসব স্থানে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে তার তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর (২১ মে, ২০২০) এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষদিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী,চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দশ থেকে পনেরো ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের সংকেতের আওতায় থাকবে।

বৃহস্পতিবার রাত এক  ঘণ্টা আগে আম্পানের অবস্থান বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উপকূল অতিক্রম রত ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে সাগর উত্তাল থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ে মূল সতর্কতা: একটা ঘূর্ণিঝড় যখন সাগর থেকে উপকূল অতিক্রম করে স্থল ভাগে প্রবেশ করে তখন কিছু সময় তান্ডব চালানোর পর সবকিছু নিরব হয়ে যায় এর কয়েক ঘন্টা পর আবারও তান্ডব শুরু হয়ে যায়।

মানুষ ১ম ধাক্কার পর মনে করে ঘূর্ণিঝড় শেষ হয়ে গেছে সবাই বাহিরে বের হয় এবং ২য় বারের ধাক্কায় হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। তাই সবাই সাবধান থাকেন ১ম ধাক্কা এসেছে বিকেল ৪টা ২য় ধাক্কা আসতে পারে রাত ৮টায়। তাই আরও কয়েক ঘন্টা সাবধান থাকতে হবে।

আম্পানের প্রভাবে যেসব স্থানে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূল অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সবাইকে আবহাওয়ার সতর্কতা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।