এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্ক: বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস–বাংলার উড়োজাহাজ নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স নেপালের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অন্য বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, এ দূর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন ।

নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গোকুল ভান্ডারির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ থেকে ৫০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নয়জনের খোঁজ মিলছে না।

গোকুল ভান্ডারি এএফপিকে বলেন, কাউকে জীবিত উদ্ধার করার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কারণ উড়োজাহাজটি ভয়াবহভাবে পুড়ে গেছে।

কোনো বার্তা সংস্থাই তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে পারে নি। এএফপি জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ৩২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

রয়টার্স বলছে, উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি ছিলেন। এ ছাড়া মালদ্বীপ ও চীনের একজন করে নাগরিক ছিলেন।

আজ সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটি। প্রথম আলো জানায়, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাঠমান্ডুর একজন সাংবাদিক বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, ওই উরোজাহাজে মোট ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন।

এদিকে ইউ এস বাংলার প্রধান কার‌্যালয়ে ওই উরোজাহাজে থাকা যাত্রীদের স্বজনেরা ভিড় জমাচ্ছেন। আত্মীয়দের উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় সময় পার হচ্ছে। দেশের দ্বিতীয় ইতিহাসে এমন বড় দূর্ঘটনা হয় নি বললেই চলে। সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।