ঈদুল আজহা পর্যন্ত গবাদিপশু

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গবাদিপশুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত গবাদিপশু অনু প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই, ২০১৯) অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

সভায় জানানো হয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সারাদেশে কুরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশু মজুদের পাশাপাশি কুরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে, পশুর সংখ্যা নিরুপন, কুরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাইরোধ এবং দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকার গবাদির অনু প্রবেশ বন্ধ।



সভায় জানানো হয়, দেশ মাংসে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখ যোগ্য হারে কমে গেছে। পূর্বে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার গরু ঢুকেছে দেশে।

এবার সারাদেশে কুরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশুর কুরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়। গতবছর ঈদে কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কুরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতন।

আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম মজুদ থাকবে। ঢাকায় ২টি সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কুরবানির হাটবাজারেও ২টি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাটবাজার বসবে এবার।

স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশনসহ  সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।

মৎস্য প্রতিমন্ত্রী পশুব্যবসায়ীর নিকট থেকে চাঁদা আদায়সহ পশু বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত হাসিল-আদায় রোধ এবং ব্যাপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনের ওপর জোর দেন।

তিনি সুন্দর ও নিরুদ্বিগ্ন ঈদ উদযাপনের লক্ষে  সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কার্যকর সহযোগিতাও কামনা করেন।

আন্তঃমন্ত্রণালয়সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকরতাগণ অংশগ্রহণ করেন।

ঈদুল আজহা পর্যন্ত গবাদিপশু অনু প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত শিরোনামের সংবাদটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: দেশের বাজারে আর্জেন্টিনার মাংস রপ্তানীর প্রস্তাব নাকচ