নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশের উত্তরে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের এলাকা বড় হচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে একাধিক এলাকায় বেড়েছে শৈত্যপ্রবাহের দাপট। এর ফলে শীতের মাত্রাও বেড়েছে অনেক।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আরও বেশ কিছুদিন থাকবে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহটি। সাথে শীতের প্রকটও বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। তবে এখনো বৃষ্টিপাতের তেমন কোন সম্ভাবনা নেই।

যেসব অঞ্চল দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: রাজশাহী, রংপুর, বদলগাছী, শ্রীমঙ্গল, তেঁতুলিয়া, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, সৈয়দপুর ও কুড়িগ্রাম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে ছিল। ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বিশেষ করে নদী ও মাঠে এই কুয়াশার পরিমাণ বেশি থাকবে। এছাড়া সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্ন্ত দেশের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে যেসব স্থানের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো তাদের মধ্যে রয়েছে, ঢাকার ১৬, টাঙ্গাইলে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীর বদলগাছীতে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরের দিনাজপুরে ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনার চুয়াডাঙ্গায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশালে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামে কুমিল্লায় ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৫৬ শতাংশ। আর গতি ও দিক ছিল উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কি.মি.।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমাঞ্চল ও তার আশপাশে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

উত্তরবঙ্গে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহটি দক্ষিণে গিয়ে শেষ হবে। তবে তাপমাত্রা সামনের দিনে আরও কমতে পারে। ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেও আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমের তৃতীয় শৈত্যপ্রবাহ এটি। গত বছর দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। মাঘ মাসের শুরুতেই এবার শৈত্যপ্রবাহের কবলে পরেছে দেশ। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের বেশ কষ্টে সময় পার করতে হচ্ছে।

উত্তরে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের এলাকা বড় হচ্ছে শিরোনামের সংবাদটির তথ্য বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর নিশ্চিত করেছে। পাঠক আপনাদের এলাকার শীতের ছবি পাঠাতে পারেন আমাদের। আমরা তা তুলে ধরবো।