ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষি। আর যে কোন ফসল উৎপাদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হচ্ছে বীজ। মান সম্পন্ন বীজ বিভিন্ন শ্রেণির হতে পারে যেমন- মৌল বীজ, ভিত্তি বীজ, উন্নত মানের বীজ, হাইব্রিড বীজ ইত্যাদি।

আসুন উন্নত মানের বীজ চেনার উপায় কৌশলগুলো জেনে নিই:

মান সম্পন্ন বীজের গুণাবলী: 
১.বিশুদ্ধ বীজ (কম পক্ষে ৯৪% বিশুদ্ধতা)।
২.উজ্জ্বল, সুন্দর, সতেজ, স্বাভাবিক রঙ এর বীজ।
৩.পুষ্ট, বড় দানা সম্পন্ন বীজ।
৪.পোকা ও রোগ মুক্ত বীজ।
৫.বীজের আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ১২% (ধান, গম) অন্যান্য ফসল ১০%।
৬.গজানোর ক্ষমতা ৭০-৮৫% এর উপরে।

আরও পড়ুন: ডাল বীজের গুণগত মান রক্ষণে করণীয়

উন্নতমানের বীজের বৈশিষ্ট্য সমূহ:  
১.বাহ্যিক চেহারা হবে উজ্জ্বল, সুন্দর, আকার, আয়তন ও জৌলুস ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
২.বীজে কোন নিষ্ক্রিয় পদার্থ  (Inert Material)  বালি, পাথর, ছোট মাটি, ভাঙ্গা বীজ, বীজের খোসা ইত্যাদি থাকবে না।
৩.বীজে হতে হবে বিশুদ্ধ (Pure Seed)।
.বীজের ক্ষতিকর আগাছার বীজ (Obnoxious weed seed) থাকবে না।
৫.বীজ হতে হবে পুষ্ট। আকার, আয়তন, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, ওজন, জাত অনুযায়ী নির্দিষ্ট থাকতে হবে।
৬.বীজের আর্দ্রতা নির্ধারিত মাত্রায় থাকতে হবে। (ধান, গম, ভুট্টার বেলায় ১২%, ডালজাতীয় শস্যের বেলায় ৯%, পাট ৯%, সরিষা ৮%, সূর্যমুখী ৯% , ফুলকপি ৭%)।

আরও পড়ুন: ডাল বীজের গুণগত মান রক্ষণে করণীয়

৭.বীজ ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের আক্রমণ মুক্ত ও নীরোগ হতে হবে।
৮.প্রয়োজনে বীজের সুপ্তাবস্থা (ঝববফ উড়ৎসধহপু) কাটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অবশ্য কৃষকদের নিকট  ৯.অবশ্যই সুপ্তাবস্থা কাটানো বীজ যা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করা যায় তা সরবরাহ করতে হবে।
১০.সর্বোপরি বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা নির্ধারিত মানের হতে হবে। (সর্বনিম্ন ধান ৮০%, গম ৮৫%, ডালশস্যা ৭৫-৮৫%, শাক-সজবি ৭০-৭৫%।

উন্নত মানের বীজ চেনার কৌশল শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন মাহমুদ হোসেন মহাব্যবস্থাপক (অব.) বিএডিসি, ঢাকা। লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি