ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারী উদ্যোগে ধান, গম, ভুট্টা, সবজি ও আলু বীজ মোটামুটিভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সরবরাহ হলেও ডাল ও তেলের বীজ সরবরাহ অত্যন্ত কম। বলা যায় বাংলাদেশে এই ফসলগুলোর যে বীজ ব্যবহৃত হয় তার প্রায় সব বীজই কৃষকের বীজ। ভালো ফসল ফলাতে ভালো বীজের প্রয়োজন।

তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ডাল বীজের গুণগত মান রক্ষণে করণীয় দিক গুলো:
১. ভালো জাতের শনাক্তকরণ চিহ্ন জানা এবং বীজ সংগ্রহ : ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য ভালো জাত নির্বাচন পূর্বশর্ত। সুতরাং ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য উচ্চফলনশীল ভালো জাতের বিশুদ্ধ বীজ সংগ্রহ করতে হবে। বীজ উৎপাদনকালীন সময়ে জমি থেকে অন্য জাতের গাছের মিশ্রণ বাছাই (রগিং) করার জন্য অবশ্যই নির্বচিত জাতের এক বা একাধিক শনাক্তকরণ চিহ্ন জানা প্রয়োজন। তাই বিশ্বস্ত সূত্র থেকে বীজ সংগ্রহ করা উচিত।

আরও পড়ুন: ভাদ্র মাসে ফসল, প্রাণি ও মাছে সফলতার কৌশলসমূহ

২. মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন পদ্ধতি : বীজ উৎপাদন পদ্ধতিতে অনেকগুলো ধাপ জড়িত, যেমন উপযুক্ত জমি নির্বাচন, সুষম সার প্রয়োগ, আগাম সময়ে বপন, লাইনে বপন, ফসলের পরিচর্যা (রোগ, পোকামাকড় ও আগাছা দমন), রগিং, ফসল কর্তন, মাড়াই, ইত্যাদি। প্রত্যেকটি পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ। তবে

৩.প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ : মাড়াই থেকে শুরু করে সংরক্ষণ পর্যন্ত কাজগুলোকে এককথায় প্রক্রিয়াজাতকরণ বলে। এখানে নিম্নলিখিত কাজগুলোর প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে।

আরও পড়ুন: ফসলের উৎপাদন বাড়াতে আরও উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন দরকার

ডাল বীজের গুণগত মান রক্ষণে করণীয় শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন মো: ওমর আলী প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ডাল গবেষণা উপ-কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর, গাজীপুর। লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি