এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্ক: উপকূলের ২৫ উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহে বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভূ-উপরস্থ পানির ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ মানুষ নিরাপদ পানি পাবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৪৫ কোটি ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় উপকূলের ২৫ উপজেলায় ১৫০টি পুকুরের পানির যথাযথ ব্যবহার, ৬৬৪টি গভীর নলকূপ স্থাপন, পাঁচ হাজার পয়েন্টে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, পাঁচটি উৎপাদক নলকূপ, ১২৫টি পন্ড স্যান্ড ফিল্টার (পিএসএফ) সংস্কার ও খুলনার ফুলতলা এবং সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় ৩২ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে।

খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার পল্লী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাগেরহাটের শরণখোলা, মোল্লাহাট, মোড়েলগঞ্জ, জেলা সদর, কচুয়া, ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা, খুলনার রূপসা, তেরখাদা, দীঘলিয়া, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, কালীগঞ্জ, দেবহাটা, তালা, কলারোয়া ও জেলা সদরে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চলে লোনা পানির অনুপ্রবেশসহ আর্সেনিক দূষণ ও ভূগর্ভস্থ জলাধারের অপ্রাপ্ততা দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে পুকুরের পানি, বৃষ্টির পানি, পিএসএফ ও পাইপলাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম অহিদুল ইসলাম জানান, সুপেয় পানির অভাবে এ অঞ্চলে পানিবাহিত রোগ ছাড়াও চর্ম ও পেটের পীড়া দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থার অবসানে নিরাপদ পানি সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছর নাগাদ কাজ শেষ হবে।

বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শামীম আহমেদ জানান, টেন্ডার ও মূল্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে। জেলা সদর, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও রামপালের একাংশে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে। সবচেয়ে বেশি পানি সংকটপ্রবণ এলাকা কচুয়া, মোড়েলগঞ্জ, চিতলমারী, মোংলা, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলার একাংশে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলায় উপকূলের পানির উৎস লবণাক্ত হয়ে পড়ে। সে সময় গাড়ি ও বোতলে করে পানি সরবরাহ করে সাময়িকভাবে সংকট সামাল দেয়া হয়। সূত্র: বণিক বার্তা।