কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি থেকে এগ্রিকেয়ার২৪.কম: একুশ আমাদের জাতীয় চেতনার উজ্জ্বল বাতিঘর। ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্যেও মাঝেই প্রোথিত রয়েছে মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজমন্ত্র।

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঈশাখাঁ হল সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নির্মীত শহীদ মিনারে কথাগুলো বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর।

আমাদের প্রতিটি গণতান্ত্রিক সংগ্রাম আন্দোলনে ভাষা আন্দোলনের এ তাৎপযর্ মন্ডিত দিনটি ইতিহাসের ‘মাইলফলক’হয়ে আছে। ভাষা আন্দোলনের চিরঞ্জীব শহীদসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের প্রতি, বিশেষ করে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি নিবেদন করি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রভাত ফেরি, কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভার আয়োজন কওে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহওে বিশ্ববিদ্যালযের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর ঈশা খাঁ হল সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নির্মীত শহীদ মিনাওে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবন থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি প্রভাত ফেরি বের করা হয়। প্রভাত ফেরিটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনাওে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন শহীদ মিনাওে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) কনফারেন্স হলে ‘একুশের চেতনায় বাংলাদেশ’শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ. এস. মাহফুজুলবারির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আমিরুল ইসলাম এর পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো.জসিম উদ্দিন খান এবং ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির। বক্তারা একুশের চেতনা ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তারা বলেন,স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের তরুণ প্রজন্মকে একুশকে মনে ধারণ এবং লালন কওে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে। বিকালে দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত, সাহিত্য সংঘ এবং সংগীত সংঘের আয়োজনে একুশের কবিতা আবৃত্তি এবং সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।