অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক,  এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শুধুমাত্র গত এপ্রিল মাসে  ৭ লাখ ৬৩ হাজার টন গম-ভুট্টা,যব রফতানি করেছে ইউক্রেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো তুলনামূলক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি। খবর হেলেনিক শিপিং নিউজ ডটকম।

সম্প্রতি ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয় প্রকাশিত শস্য রফতানি-সংক্রান্ত তথ্যে জানানো হয়, ২০২১-২২ মৌসুমে (জুলাই-জুন) দেশটির শস্য রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে আনুমানিক ৪ কোটি ৫৮ লাখ টন।

ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, মার্চে দেশটির রফতানীকৃত শস্যের পরিমাণ ছিল তিন লাখ টনের বেশি। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের এক মাস আগে দেশটির রফতানীকৃত শস্যের পরিমাণ ছিল ৬০ লাখ টনের বেশি।

পড়তে পারেন: এক দশকের সর্বোচ্চ দামে ভুট্টা, বেড়েছে গমের দাম

এক সরকারি বৈঠকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগাল জানান, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, জার্মানি, বুলগেরিয়া ও রোমানিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের শস্য রফতানি-সংক্রান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উল্লিখিত দেশগুলোর বন্দর কাঠামো ব্যবহার করে নিজেদের উৎপাদিত শস্য রফতানি করতে পারবে ইউক্রেন।

মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ২০২১-২২ মৌসুমে ইউক্রেনের রফতানীকৃত শস্যের মধ্যে রয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ টন গম, ২ কোটি ১১ লাখ টন ভুট্টা ও ৫৭ লাখ টন যব। এর মধ্যে এপ্রিলে রফতানীকৃত শস্যের মধ্যে রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার টন গম, ৬ লাখ ২২ হাজার টন ভুট্টা ও ২৫ হাজার টন যব। তবে এসব শস্য কীভাবে রফতানির জন্য সরবরাহ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি মন্ত্রণালয়।

পড়তে পারেন: মন্দার মুখে ফ্রান্সের গম রফতানি

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শস্য রফতানিকারক দেশ ইউক্রেন নিজেদের উৎপাদিত শস্য রফতানির জন্য সাধারণত সমুদ্রবন্দরগুলো ব্যবহার করে। তবে রুশ সামরিক অভিযানের পর থেকেই এসব সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে ইউক্রেন সরকার। ফলে বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর বন্দর ব্যবহার করে নিজেদের রফতানি বাণিজ্য পরিচালনা করছে ইউক্রেন। এছাড়া পশ্চিম সীমান্তে রেলপথে অথবা দানিয়ুব নদীবন্দর ব্যবহার করেও কিছু রফতানি বাণিজ্য পরিচালনা করছে ইউক্রেন।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনের শস্য রফতানির জন্য এরই মধ্যে বুলগেরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এটি অনুসারে বুলগেরিয়ার ভার্না বন্দর ব্যবহার করে নিজেদের উৎপাদিত শস্য রফতানি করতে পারবে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের কৃষি ও পরিবহন-সংক্রান্ত কর্মকর্তারা জানান, দানিয়ুব নদীবন্দর ব্যবহার করে নিজেদের রফতানি সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। এর মাধ্যমে রফতানির উদ্দেশ্যে জাহাজীকরণ শস্যগুলো রোমানিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরে পৌঁছানো যাবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ