চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চার পায়ের মোরগের দেখা মিলল চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের গ্রিনল্যান্ড পার্কে। স্বাভাবিকভাবে মুরগির দুটি পা থাকে। কিন্তু এক মোরগের ৪ পা হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মোরগটির ঠিকানা এখন নাচোলের গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কে। বিরল এই মোরগ দেখতে সেখানে ভীড় জমাচ্ছেন লোকজন। জানা গেছে, নাচোল উপজেলার পৌর এলাকার ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম মেশিনের মাধ্যমে হাঁস-মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর ব্যবসা করতেন।

১০ মাস আগে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি শফিকুল ইসলামকে বেশ কিছু দেশি মুরগির ডিম দেন বাচ্চা ফোটানোর জন্য। সব ডিমেই বাচ্চা ফোটে। খেয়াল করে দেখেন, এর মধ্যে একটি বাচ্চার চারটি পা।

বিষয়টি ডিমের মালিক দেখতে পেয়ে সব বাচ্চা নিয়ে গেলেও ওই বাচ্চা রেখে যান। শফিকুলের বাড়িতেই বড় হতে থাকে বাচ্চাটি। একটু বড় হওয়ার পর বোঝা যায়, এটি মুরগি নয়, মোরগ।

চার পায়ের এ মোরগের খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামে। জানতে পেরে তিনশ টাকা দিয়ে মোরগটি কিনে নেন নাচোলের গ্রিনল্যান্ড শিশুপার্কের মালিক মুকুল মাস্টার।

এর পর থেকে সেখানেই রয়েছে মোরগটি। মোরগটির ওজন এখন প্রায় দুই কেজি। পার্কে আসা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ এখন এই চার পায়ের মোরগ। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন শুধু মোরগটি দেখার জন্য। আবার কেউ কেউ কিনে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

নাচোলের গ্রিনল্যান্ড পার্কে গিয়ে দেখা যায়, বিনোদনের জন্য বেশ কিছু রাইড ও পশুপাখি থাকলেও অনেকেই চার পায়ের মোরগটি দেখতে ব্যস্ত। কেউ কেউ ছবি ও সেলফি তুলছে।

পার্কের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, পার্কে মোরগটি নিয়ে আসার পর থেকেই দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ যেন এটি। মোরগটি দেখার জন্যই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছেন।

শিশুরাও মোরগটি দেখে আনন্দ পাচ্ছে। এক কেজি ওজন হওয়ার পর থেকেই এটি কিনে নেওয়ার জন্য কয়েকজন ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দাম উঠেছে মোরগটির। তবে আপাতত বিক্রির কোনো ইচ্ছা নেই।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চার পায়ের মোরগ বেঁচে আছে— এটি বিরল।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ