নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এক সপ্তাহে ভ্রাম্যমাণে সাড়ে ৫ কোটি ডিম বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। করোনা সঙ্কটে খামারিদের উৎপাদিত দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়টির জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরগুলো।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরসমূহের তত্ত্বাবধানে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত একসপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে ৫ কোটি ৫২ লক্ষ ১৩ হাজার ৯ শত ৩১টি ডিম বিক্রি হয়।

মন্ত্রণালয়টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এক সপ্তাহে খামারিদের উৎপাদিত ১৭৬ কোটি ২৭ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৮ টাকার দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭ শত ৬ লিটার দুধ, ৫ কোটি ৫২ লক্ষ ১৩ হাজার ৯ শত ৩১টি ডিম, ৬৬ লক্ষ ২ হাজার ৩ শত ৬৯টি মুরগি এবং ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭ শত ৮৮টি বিক্রি হয়েছে।

করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একইসাথে উদ্যোগটি খামারি ও ভোক্তাদের নিকট প্রশংসিত হচ্ছে।

আরোও পড়ুন: একসপ্তাহে ১৭৬ কোটি টাকার দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়

এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আজ শুক্রবার (১ মে, ২০২০) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষী, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি সুষম সরবরাহ ও বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সকল জেলা ও উপজেলায় কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

করোনা পরিস্থিতিতে বাজারজাতকরণ সংকটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের প্রাণিজ পণ্য প্রাপ্তির চাহিদা বিবেচনা করে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন, উদ্যোক্তা ও খামারিদের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বলা হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

এক সপ্তাহে ভ্রাম্যমাণে সাড়ে ৫ কোটি ডিম বিক্রি হওয়ায় খামরিরাও খুশি।