জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ১৭টি কৃষি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বস্তা বাধ্যতামূলক করার পর এবার যোগ হলো পোল্ট্রি ও মাছের খাদ্য পণ্য।

এখণ থেকে পোল্ট্রি ও মাছের খাদ্যের মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক। নইলে শাস্তির দন্ডে দণ্ডিত হতে হবে।

‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এর ধারা ২২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩ এর অধিকতর সংশোধন করে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামুলক করেছে।

এ দুটি পণ্য যোগ হওয়ায় এখন থেকে মোট ১৯টি (উনিশ)  পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, শুরুতে আইন অনুযায়ী ০৬টি (ছয়) পণ্য অর্থাৎ ধান, চাল, গম, ভূট্টা, সার ও চিনি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত করা হয়।

 

এরপর গত ২০১৭ সালে জানুয়ারির ২১ তারিখে আরও মরিচ, হলুদ, পেয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়াসহ মোট ১৭টি (সতের) পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বস্তা  ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়।

‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ধারা-১৪ অনুযায়ী এসব পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।

এ অপরাধ পুনরায় করলে হলে সর্বোচ্চ দন্ডের দ্বিগুণ দন্ডে দন্ডিত করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ১০০ কোটিরও অধিক পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে।

স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, পাট চাষীরা পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং সর্বোপরি পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের  তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।