স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চীনের সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরের মানুষের কভিড পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছে দেশটি। তবে এবার শুধু শহরবাসীকেই পরীক্ষার আওতায় নেয়া হচ্ছে তা নয়। এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুযায়ী, সমুদ্রের কিছু প্রাণীও এ পরীক্ষার আওতায় আসছে। সেই আওতায় মাছেরও করোনা টেস্ট করবে চীন।

বিবিসি খবর প্রকাশ করেছে, চীনের জিয়ামেন শহরে চলতি সপ্তাহেই ৫০ লাখের বেশি মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে কভিড-১৯ পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। ৪০ জনের মতো কভিড পজিটিভ রোগী শনাক্তের পর দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্প্রতি জিয়ামেন শহরের জিমেই মেরিটাইম প্যানডেমিক কন্ট্রোল ডিস্ট্রিক্ট কমিটির ইস্যু করা নোটিসে বলা হয়েছে, যখন জেলেরা মাছ ধরা শেষ করে বন্দরে ফিরবেন তখন তাদের পাশাপাশি তারা যে সামুদ্রিক খাবার খেয়েছেন বা সামুদ্রিক যে মাছ, সেগুলোও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

পড়তে পারেন: করোনাকালেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯৮%

কয়েক সপ্তাহে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ফুটেজ বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেটি হলো কয়েকজন চিকিৎসাকর্মী কিছু জীবিত মাছ ও কাঁকড়ার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পিসিআর পরীক্ষা করছেন। এ ভিডিও প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই জেলেদের সামুদ্রিক খাবার পরীক্ষার নির্দেশনা এল। যদিও বিষয়টি কিছুটা অদ্ভুত, কেননা এবারই প্রথম জীবিত মাছের কভিড-১৯ পরীক্ষা করার বিষয়টি জানা গেল।

জিয়ামেন মিউনিসিপ্যাল ওশেনিক ডেভেলপমেন্ট ব্যুরোর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, হাইনান প্রদেশ থেকে শিক্ষা নিয়েছে জিয়ামেন। সেখানেও সংক্রমণের তীব্রতা বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জলজ পণ্য বা প্রাণী থেকে স্থানীয় জেলেদের মাঝে কভিড-১৯ রোগ ছড়াতে পারে। আর জেলেদের কাছ থেকে তা ছড়িয়ে যাচ্ছে শহরের অন্যান্য মানুষের মধ্যে।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের হাইনান প্রদেশটি জিয়ামেনের মতো উপকূলীয় অঞ্চল। চলতি আগস্টের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রদেশটিতে ১০ হাজার মানুষের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে জেলে সম্প্রদায়ের কোনো না কোনো সংযোগ আছে। আর সে সংযোগ কী, সেটাই খোঁজার চেষ্টা চলছে।

পড়তে পারেন: করোনায় চাকরি হারিয়ে অভাব জয়ের পথ দেখাল মাসরুম!

অবশ্য বেশ আগে থেকেই চীনের গণমাধ্যমগুলো সামুদ্রিক প্রাণীর সঙ্গে করোনাভাইরাসের সম্পর্ক থাকার বিষয়ে সম্ভাবনার কথা বলে আসছিল।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আমদানি করা স্যামন মাছ কাটতে ব্যবহূত চপিং বোডেং কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আর এতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। তবে কেবল কভিড শনাক্তে যে মাছই পরীক্ষা করা হয়েছে তাও নয়। এর আগে হুজহোওয়ের একটি বণ্যপ্রাণীর পার্কে জলহস্তীর শরীরেও ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্তে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এছাড়া কুকুর, বিড়াল, মুরগি এমনকি অনেক পান্ডাকেও পিসিআর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ