ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এবার মুরগির দাম কমানোর জন্য আমদানির সুপারিশ করবে এফবিসিসিআই। এর আগে ডিমের দাম বৃদ্ধি হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডিম আমদানির কথা বলা হয়েছিল।

খামারিরা বলছেন, মুরগি ও ডিম উৎপাদনের খরচ যখন বেড়ে যায় তখন কেউ এ বিষয়ে কথা বলেন না। কিন্তু যখনই খামারীরা একটু ভালো দাম পেতে শুরু করেন তখনই নানা মন্তব্য ও গুজব ছড়ানো হয়। মুরগির দাম কেন বাড়ছে সেটা খতিয়ে দেখাই এ শিল্পের জন্য ভালো হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এফবিসিসিআইয়ের বোর্ডরুমে ‘রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায়’ সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, হঠাৎ কয়েকদিনে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত। প্রয়োজনে আমরা সরকারের কাছে বলবো, দুই-তিন মাসের জন্য গরু ও মুরগির মাংস আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে। এছাড়া আমরা কোনো উপায় দেখছি না।

তিনি বলেন, বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে বেশ কিছুদিন হয়েছে। কয়েকদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক বেড়েছে। আমরা আজ এ নিয়ে মুরগি ব্যবসায়ীদের ডেকেছিলাম, তারা আসেননি মিটিংয়ে। এর আগে দাম বাড়লো। তখন ধর-পাকড় করা হলে দাম কমে আসে। এখন রমজানকে সামনে রেখে আবার মুরগির দাম বাড়ানো হলো কেনো, প্রশ্ন রাখেন তিনি। এভাবে সমাধান আসবে না। আমরা সরকারের কাছে আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে বলবো। আগামী দু-তিন মাস আমদানি করা হোক। এছাড়া আর আমরা কোনো পথ দেখছি না।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এবার সরকার বাজার মনিটরিংয়ে থাকবে কঠোরভাবে। কোনো বাজারে বেশি মূল্য রাখা হলেই কিন্তু বাজার কমিটি বাতিল করবে সরকার। একই সঙ্গে দাম বেশি নেওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। আমরা চাই না, রোজায় কোনো ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক, কাউকে আটক করা হোক।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সমস্যা থাকতে পারে। সমস্যাটি আমাদের জানাবেন। আমাদের সেলে জানান, আমরা কথা বলবো। আমাদের টিমও বাজার মনিটরিংয়ে থাকবে। আশা করবো আপনারা কেউ বেশি মুনাফা করবেন না। বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি খেজুর আছে। পর্যাপ্ত রয়েছে ছোলা, পামঅয়েল, সয়াবিনসহ অন্যান্য পণ্য।

সভায় সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ বলেন, আমাদের কাছে চিনি-ভোজ্যতেলের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে রোজায় কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতিসহ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা।