ওয়ার্ল্ডফিশ’র গবেষণা প্রকল্পে কাজের

সুজন, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ওয়ার্ল্ডফিশ’র গবেষণা প্রকল্পে কাজের সুযোগ পেলো নোবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাৎসরিক ১২,০০০ ইউএস ডলার দেয়া হবে।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) সূত্র জানায়, আন্তজার্তিক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের নবীন গবেষকদের গবেষণায় আরও আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষে সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব ফিশারিজ এ “WorldFish Science Event for Young Researchers in Bangladesh” শিরোনামে একটি পোষ্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পিএইচডি ফেলো এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীসহ মোট ৮১ জন উক্ত প্রতিযোগীতায় নিজ নিজ মৌলিক গবেষণা প্রকল্প জমা প্রদান করে। প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ২১ জন প্রতিযোগীকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে সেরা প্রকল্পগুলো পোষ্টার প্রেজেন্টেশনের জন্য আমন্ত্রন জানানো হয়।

গত ৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব ফিশারিজে অনুষ্ঠিত পোষ্টার প্রেজেন্টেশনে উক্ত ২১ জনের মধ্যে সেরা ১০ জন প্রতিযোগী নির্বাচন করা হয়। যাদের মধ্যে নোবিপ্রবির ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের ৩ জন শিক্ষার্থী ৮ম ব্যাচের তৌশিক লাহিড়ী ও নাজমুন নাহার এবং ৯ম ব্যাচের মোঃ মহসিন যথাক্রমে ৩য়, ৭ম ও ৫ম স্থান অধিকার করেন।

এ প্রসঙ্গে তয় স্থান অধিকারী তৌশিক লাহিড়ী এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ইউনিভার্সিটি একাডেমিক লাইফের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো গবেষণা যা একটা দেশের উন্নতি তথা ওই ইউনিভার্সিটিকে রিপ্রেজেন্ট করে। ওয়ার্ল্ড ফিশের এই পদক্ষেপ সত্যি নতুন গবেষকদের উৎসাহের খোরাক যোগাবে।

৫ম স্থান অধিকারী, মহশিন রেজা বলেন,এই প্রতিযোগিতার এবং উৎসাহের মাধ্যমে নতুনদের গবেষণা ক্ষেত্রে আগ্রহ বাড়াবে এবং মৎস্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটাবে।

৭ম স্থান অধিকারী, নাজমুন নাহার বলেন, Worldfish এর ন্যায় সরকার এবং প্রতিটি ইউনিভার্সিটিরই নিয়মিত এসব গবেষণা ভিত্তিক ইভেন্ট আয়োজন করা উচিত এতে তরুণরা যেমন উৎসাহিত হবে তেমনি নতুন নতুন গবেষণা আইডিয়া দেশকে সুফল এনে দেবে।

উল্লেখ্য, উক্ত বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আছেন। প্রতিযোগীতায় নির্বাচিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাৎসরিক ১২,০০০ ইউএস ডলার প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন: শীতার্তদের পাশে নোবিপ্রবি’র চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন

মূলত নোবিপ্রবি ফিসারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে গবেষণার দিকে উৎসাহ যোগানো হয়। এই বিভাগের শিক্ষদের আন্তরিকতা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণের ফলাফল আজকের এই বিশাল সফলতা বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করেন।

ওয়ার্ল্ডফিশ’র গবেষণা প্রকল্পে কাজের সুযোগ পেলো নোবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী এ সংবাদে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছে এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর পরিবার।

প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ওয়ার্ল্ডফিশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ম্যালকম ডিকসনসহ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, ইংল্যান্ড, লাতিন আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের খ্যাতনামা গবেষকগণ উপস্থিত থেকে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।