প্রাণিডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে মো. রাব্বি। পড়াশোনা করেন অনার্স্ ২য় বর্ষে। প্রায় পাঁচ বছর আগে মামার কাছ থেকে শখের বশে দেশীয় প্রজাতির ৩ জোড়া কবুতর নিয়ে লালন-পালন শুরু করেন তিনি। এখন এই কবুতরের আয় থেকে চলছে রাব্বির পড়াশোনা।

শখ থেকে শুরু করা সেই কবুতরই এখন হয়ে উঠেছে রাব্বির আয়ের অন্যতম উৎস। ৩ জোড়া কবুতর থেকে এখন হয়েছে পঞ্চাশ জোড়া।

কলেজছাত্র রাব্বি বলেন, কবুতর পালনের ব্যয় বাদে বর্তমানে আমার মাসে আয় হচ্ছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। বর্তমানে আমি ভোলা সরকারি কলেজে অনার্স ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছি।

যা দিয়ে সেখানের পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছি। মাঝে মধ্যে আবার পরিবারকে এ আয় থেকে সহযোগিতা করি। রাব্বির বাবা মো. ফারুক মিয়া জানান, শখ করে ছেলে কয়েক বছর আগে ৩ জোড়া কবুতর পালতে আনে। এখন সেই কবুতর দিয়েই আয় করছে রাব্বি। নিজের পড়ালেখার খরচ নিজেই চালাচ্ছে সে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

কমেছে দাম, কদর বেড়েছে কবুতরের বাচ্চার

কবুতরের ঘাড় বাঁকা ও খাবার না খাওয়া সমস্যার সমাধান

কবুতরের সবুজ পাতলা পায়খানা ও বমির চিকিৎসা

কবুতরের বাচ্চা প্রথম ৭দিন দুধ পান করে বাবা-মায়ের কাছ থেকে

রাব্বি তার নিজের কর্মসংস্থান নিজেই সৃষ্টি করায় আমরা অত্যন্ত খুশি। অন্যদিকে, কলেজছাত্র রাব্বির দেখাদেখি কবুতর পালনে আগ্রহী হয়েছেন উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী।

এদের মধ্যে মো. নোমান নামের একজন জানান, রাব্বি কবুতর পালন করে ভালোভাবে চলতে পারছে। পরিবারের কাছ থেকে তাকে টাকা নিয়ে চলতে হয় না। নিজের টাকা নিজেই উপার্জন করছে রাব্বি। তাই আমিও ইতিমধ্যে কবুতর পালন শুরু করেছি। আশা করছি এতে স্বাবলম্বী হতে পারবো।

লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাসির উদ্দিন মুন্সী বলেন, বেকার তরুণ বা ছাত্রদের কবুতর পালনের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের সুযোগ রয়েছে। কেউ যদি এ কাজে আগ্রহী হয় তাহলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। কবুতরের আয় থেকে চলছে রাব্বির পড়াশোনা সংবাদের তথ্য মানবজমিন থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ