নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম:  রাজশাহীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে বাজারে দেশি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা থেকে ২০ টাকা কমে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪১০ থেকে কমে ৩৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগির দাম ঠিক আগের মতোই ২৮০ টাকা এবং কক মুরগির কেজি ২৭০ টাকা।

একইসাথে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় বাজারে দ্বিতীয় দফায় এসেছে ইলিশ। আমদানি বেশ ভালো হওয়ায় দামও তুলনামূলক কম। একদম ছোট সাইজের ইলিশ ৫০০ টাকা কেজি, এককেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার এবং দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৩’শ থেকে ১৪’শ টাকায়।

মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন মাছের আমদানি বেশ ভালো। বিক্রি হচ্ছে আগের তুলনায় বেশি। প্রতিকেজি রুই আকার ভেদে ছোট থেকে বড় সর্বনিম্ন ২০০ টাকা এবং ৩ কেজি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। কাতল ২৮০, তেলাপিয়া ১৪০, চিংড়ি ৮০০, বোয়াল ৬০০, পাবদা সাড়ে ৪০০, সিলভার কার্প ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও বাজার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, শীতকালীন সবজির দাম মধ্যম পর্যায়ে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে অনেক আগেই। আরো বেশি আমদানি হলে দাম আরো কমে যাবে। বাজারে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও লাল ক্যাপসিকাম ৭৫০ টাকা এবং সবুজ ক্যাপসিকাম ৩৫০ টাকা।

সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমতে আরো ১০ দিন সময় লাগবে। বাজারে বেগুন, ধনে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এছাড়াও প্রতিকেজি মুলা ২৫, পটল ২৫, শশা ৪০, বরবটি ৩০, পেঁপে ১০, কাঁচামরিচ ১০০, ওল ৪০, কচু ৪০, করলা ৬০, ফুলকপি ৬৫, ঢেঁড়স ৫০, মিষ্টিকুমড়া ২৫ এবং আলু বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি দরে।

মসলার বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। প্রতিকেজি এলসি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা এবং দেশী ৫৫ টাকা। আদার কেজি ১২০ টাকা থেকে কমে ১০০ এবং রসুনের দরপতনে দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। যা গত সপ্তাহে দাম ছিল ১৪০ টাকা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে ধরা খেয়েছেন সিন্ডিকেট। আবার পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে। তবে, প্রতিবছরই নতুনর পেঁয়াজ আসার আগে দাম কিছুটা বাড়তি হয়।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ