পাহাড়ী তুলা চাষ প্রযুক্তি

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: তুলা উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় তুরস্কের অবস্থান ষষ্ঠ। প্রায় চার বছরে আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে তুলা উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছিল। বর্তমানে করোনাকালে কমতে পারে তুরস্কের তুলা উৎপাদন এমন তথ্য প্রকাশ করেছে এগ্রিমানি ও রয়টার্স।

মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ ধরনের এক পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সেখানে বলো হয়েছে চলতি বছরও তুরস্কে তুলা উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় কমতে পারে সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি।

ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সাল শেষে তুরস্কে সব মিলিয়ে ৩৩ লাখ বেল (প্রতি বেলে ৪৮০ পাউন্ড) তুলা উৎপাদন হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম। ২০১৯ সালে দেশটিতে আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ কমে মোট ৩৪ লাখ ৫০ হাজার বেল তুলা উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে তুরস্কে তুলা উৎপাদন কমতে পারে ১ লাখ ৫০ হাজার বেল।

আরোও পড়ুন: অন্যান্য ফসলের মতো তুলা উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

করোনার মধ্যেই ৪৫ লাখ বেল তুলা রফতানির সম্ভাবনা ভারতের

সর্বশেষ ২০১৭ সালে তুরস্কে তুলা উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছিল। ওই বছর দেশটিতে মোট ৪০ লাখ বেল তুলা উৎপাদন হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএসডিএ, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। তুরস্কের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বেশি তুলা উৎপাদনের রেকর্ড। এর পরের বছর দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার বেলে মেনে আসে।

গত বছর দেশটি থেকে মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার বেল তুলা রফতানি হয়েছিল। এদিকে চলতি বছর তুরস্ক থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার বেল তুলা রফতানির পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কম।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ