আঙ্গুর। ছবি: সংগৃহীত।

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে গেছে। বন্ধ আছে বিয়ের অনুষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, নাইট ক্লাব। এ পরিস্থিতিতে কমেছে শ্যাম্পেইনের চাহিদা।তাই শ্যাম্পেইন তৈরির মূল উপাদান আঙ্গুর ফেলে দেওয়া হচ্ছে।

ফ্রান্সের ইতোমধ্যেই এই খাতের রাজস্ব আয় কমে গেছে৷ দেশটির শ্যাম্পেইন অঞ্চলের আঙুর ও মদ উৎপাদনকারীদের জন্য উৎপাদনের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে শ্যাম্পেইন কমিটি। হেক্টরপ্রতি ৮০০০ কেজি আঙুর চাষের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু করোনায় শ্যাম্পেইন উৎপাদনকারীরা এবছর আঙুর উৎপাদনের পরিমাণ নজিরবিহীন সংখ্যক কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করে মহামারির প্রভাবে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা।এক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ আঙ্গুর নষ্ট করে ফেলা হবে ও ছাড় মূল্যে বিক্রি করা হবে বলে খবর প্রকাশ করেছে বিজনেনস স্ট্যান্ডার্ড।

করোনায় গত বছরের তুলনায় আঙুর উৎপাদনের পরিমাণ ২১ শতাংশ কমে গেছে। আঙুরের অধিক ফলন হলে বোতল প্রতি শ্যাম্পেইনের দাম কমে যায়৷ এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে আঙুর ফলনের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয় শ্যাম্পেইন কমিটি। এবছর ২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

শ্যাম্পেইন কমিটি জানায়, কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব বড় প্রভাব পড়েছে শ্যাম্পেইনের ওপর।
মহামারির প্রভাবে বিশ্বজুড়ে বিয়ের অনুষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, নাইট ক্লাব বন্ধ আছে। এরফলে চাহিদাও কমে গেছে শ্যাম্পেইনের। ইতোমধ্যেই এই খাতের রাজস্ব আয় কমে গেছে৷ অনেক উৎপাদনকারী আশঙ্কা করছেন, ২০২০ সালের শেষে ১০০ মিলিয়ন শ্যাম্পেইনের বোতল অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে থাকবে। অনেকে ধারণা করছেন কয়েক বছর ধরে এই সংকটকালীন অবস্থা চলতে পারে।

করোনা : ফেলে দেওয়া হচ্ছে আঙুর শিরোনামে সংবাদের তথ্য বিজনেস স্যান্ডার্ড থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।