সমীরন বিশ্বাস, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কলা চাষে চাষিরা বেশ লাভবান হয়ে থাকেন। ফলে দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। এ ফল চাষে কৃষকদের বেশ সতর্ক হতে হয়। জানতে হয় রোগ বালাই সম্পর্কে। কলার পরিচিত বিটল পোকা দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আজকের আলোচনা।

সঠিকভাবে আগাছা দমন করলে এ পোকার সংখ্যা হ্রাসে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না বলে রাসায়নিক দমনব্যবস্থার পরামর্শ সাধারণত দেওয়া হয় না। তীব্র আক্রমণে ০.১ শতাংশ ফরমুলেশনের কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

যা হোক, যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিটল বিরাট পরিমাণে অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কীটনাশকের ব্যবহার পরিহার করা উচিত। কচি কলার পাতা ও কলায় বিটল পোকা হাটাহাটি করে দাগের সৃষ্টি করে। যাহার ফলে কচি পাতার উপরে এবং কচি কলার উপরে দাগের সৃষ্টি করে যাহার কারনে ফলন এবং পরবর্তীতে কলে কলা বিক্রি এবং মার্কেটিং এ একটি বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

রোগের লক্ষণ
১. কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা কচি পাতায় হাটাহাটি করে দাগের সৃষ্টি করে
২. সবুজ অংশ নষ্ট করে। ফলে সেখানে অসংখ্য দাগের সৃষ্টি হয়।
৩. কলা বের হওয়ার সময় হলে পোকা মোচার মধ্যে ঢুকে কচি কলার উপর হাটাহাটি করে এবং রস চুষে খায় এবং দাগের সৃষ্টি করে
৪. কলার গায়ে বসন্ত রোগের মতো দাগ হয়।

জৈব ব্যবস্থাপনা
পোকা আক্রান্তমাঠে বারবার কলা চাষ করা যাবে না।
কলার মোচা বের হওয়ার সময় ছিদ্র বিশিষ্ট পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে এ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পোকা প্রতিরোধে হলুদ আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করুন।
সঠিকভাবে আগাছা দমন করা

রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা
ইমিডাক্লোপ্রিড – কৃষক বন্ধু ২০০ এসএল – আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে ২.০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভালভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।

লেখক: সমীরন বিশ্বাস, লিড-এগ্রিকালচারিস্ট, মদিনা টেক লিমিটেড, ঢাকা।
[email protected] ০১৭৪১১২২৭৫৫।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ