ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কাঁকরোল পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় সবজি। এটি এক ধরনের কুমড়া গোত্রীয় ছোট সবজি যা মূলত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বাংলাদেশে চাষ হয়ে থাকে। কাঁচা কাঁকরোল তরকারি, ভাজি ও ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁকরোলের আধুনিক চাষ পদ্ধতি-

মাটি:
সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ, এঁটেল-দো-আঁশ মাটি চাষের জন্য উত্তম। চাষের জন্য পানি জমে না, উঁচু বা মাঝারি উঁচু জায়গা দরকার।

জমি তৈরি:
চাষের জন্য মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপর চাষের জমিতে প্রয়োজনীয় মাপের মাদা তৈরি করতে হবে। প্রত্যেক মাদায় ৪-৫টি বীজ বপণ করতে হবে।

জাত:
কাঁকরোলের বিভিন্ন জাত রয়েছে। এরমধ্যে আসামি, মণিপুরি, মুকুন্দপুরি ও মধুপুরি অন্যতম। এসব জাতের ফলগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু এবং ফলনও বেশি।

রোপণ দূরত্বঃ
সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ২ মিটার ও গাছ থেকে গাছের দূরত্ব হবে ২ মিটার। আবার মাদা থেকে মাদার দূরত্ব হবে ২.৫ মিটার।

সার প্রয়োগ:
পরিমাণমতো পচা গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম দিতে হবে। রোপণের সময় অর্ধেক ইউরিয়া, অর্ধেক এমওপি এবং অন্যান্য সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ও এমওপি সমান ২ কিস্তি করে গাছ বাড়ার সময় ১ বার এবং ফুল আসার পর দিতে হবে।

পরিচর্যা:
চারা গজানোর পর আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। অবস্থা বুঝে পানি দিতে হবে। তবে জমিতে যেন অতিরিক্ত পানি না জমে। জমলে বের করে দিতে হবে। গাছ ১০-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হলে গোড়ায় বাঁশের কঞ্চি বা কাঠি পুঁতে দিতে হবে। গাছ ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হলে মজবুত মাচা তৈরি করে দিতে হবে।

কাঁকরোলের আধুনিক চাষ পদ্ধতি শিরোনামে সংবাদটি জাগো নিউজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।