ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশে উৎপাদিত কাঁচাপাট রফতানি বন্ধ ও শুল্ক আরোপ করার অনুরোধ জানিয়েছে বেসরকারি পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট মিল অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)। পাটশিল্প বাঁচাতে প্রতি মেট্রিক টন কাঁচা পাট রফতানির ওপর ২৫০ মার্কিন ডলার শুল্ক আরোপের সুপারিশ করে সংগঠন দুটি।

বুধবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানানো হয়। সংগঠন দুটি আনকাট বাংলা তোশা রিজেকশন (বিটিআর) ও বাংলা হোয়াইট রিজেকশন (বিডব্লিউআর) জাতের পাট রফতানি বন্ধের অনুরোধ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বিজেএমএ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী ও বিজেএসএ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদ মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে বিদ্যমান পাটকলের সংখ্যা ২৫৯টি। এই পাটকলগুলো পরিচালনায় বছরে প্রয়োজন হয় ৬০ লাখ বেল কাঁচা পাট। বেসরকারি এই শিল্প খাতে কর্মরত আছেন ২ লাখ শ্রমিক। পরোক্ষভাবে এই শিল্প খাতে ৪ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান। বছরে প্রায় ৬ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন পাটপণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করে ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। মোট পাটপণ্য উৎপাদন হয় ৭ লাখ ৪০ হাজার টন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, এবারের বন্যা ও খরায় পাটের উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছর ৭৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হলেও এ বছর ৫৫ লাখ বেলের বেশি উৎপাদন হবে না। এ অবস্থায় কাঁচা পাট রফতানি হলে এই শিল্প সংকটে পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকার যদি আমাদের দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত সুপারিশ ২টি বাস্তবায়ন করে তাহলে দেশের পাটশিল্প বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উঠে আসতে পারবে। দেশের অর্থনীতিতে আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। অন্যথায় পাটশিল্প বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফারিয়ান ইউসুফ, পরিচালক নাজমুল হক, পরিচালক মৃধা মনিরুজ্জামান, জেনারেল সেক্রেটারি শহীদুল করিম ও সদস্য কাজী ইনাম আহমেদ। বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন সোহেল, পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

কাঁচাপাট রফতানি বন্ধ ও শুল্ক আরোপ করার অনুরোধ দুই সংগঠনের শিরোনামে সংবাদের তথ্য দেশ রুপান্তর থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি