নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কাল বা পুরশু আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় চিত্রা বলে মনে করছেন দেশের আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, সবকিছু বাতাসের গতির ওপর নির্ভর করছে। যদি বাতাসের গতি বেশি হয় তাহলে দ্রুত সময়ে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণঝড় সিত্রাং।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর ও আবহাওয়াবিদ কাওসার পারভিন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আবহাওয়ার আপডেট রাত নয়টার দিকে নতুন কিছু পাওয়া যেতে পারে। এখন পর্যন্ত আমরা যেটা বুঝতে পারছি তা হলো কাল বা পুরশু আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণঝড়টি।

এর ফলে দেশের সন্দীপ, নোয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় বেশি আক্রান্ত হতে পারে। তবে রাজশাহী, রংপুর বিভাগে প্রভাব কম পরার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৩ (তিন) নম্বর পুনঃ ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপটি অবস্থান করছে।

দুপুরের দিকে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানায়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কি.মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেই সাথে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত  দেখাতে বলা হয়েছে।

গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুবাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্ররারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।