প্রায় তিনযুগ ধরে দেশের কৃষির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির পুরাধা ড. এফ এইচ আনসারী।

দীর্ঘ সময় ধরে একাধিক সফলতা হাতে ধরা দিলেও নিজের নামে কোন প্রতিষ্টান বা কোন কিছু গড়ে তোলার পথে পা বাড়ান নি। সবকিছু যেন তার দেশের কৃষি ও কৃষককে ঘিরে। কৃষির জন্যে এমন নিবেদিত প্রাণ দেশে খুঁজে পাওয়া দুস্কর।  

দেশ বা ভিনদেশ যেখানেই যান কেন, চোখ তার থাকে দেশের কৃষিতে। নতুন কোন প্রযুক্তি চোখে ধরলেই দেশের কৃষিতে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় তাঁর কার্যক্রম। এভাবেই নতুন নতুন প্রযুক্তিতে দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন তিনি।

আর এ কারণেই কৃষকদের সমৃদ্ধিশালী করার চিন্তাও তার মাথা থেকেই প্রথম এসেছে। কৃষকদের সমৃদ্ধিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

দেশে যখন জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে কিন্তু ধানের উৎপাদন বাড়ছে না সেভাবে। ঠিক সেই সময়ে দেশের কৃষিকে উপহার দেন উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের ধানের। কয়েকবছরের মধ্যে পাল্টে যায় ধানের ফলনের চিত্র। এমনই একাধিক ফসলের উদ্ভাবনে/উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন ড. এফ এইচ আনসারী।

শুধু কৃষিতেই নয় প্রাণি ও মৎস্য সম্পেদেও সমানতালে অবদান রেখে যাচ্ছেন তিনি। দেশের পোল্ট্রি শিল্প যখন এভিয়েন ফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে দিশেহার ঠিক সেই সময়ে চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন তিনি। তার হাত ধরেই সেই দু:সময় কাটিয়ে ওঠে পোল্ট্রি শিল্প।

বর্তমানে কৃষির যে যান্ত্রিকতার চ্যালেঞ্জ প্রখরভাবে দেখা দিয়েছে, তারও সমাধানে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

এরকম আরও অনেক সফলতার উদাহরণ রয়েছে। এখনো তিনি একই তারণ্য নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন দেশের কৃষির উন্নয়নের কাজে।

নতুন নতুন এসব প্রযুক্তি দেশের কৃষিতে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জটা ছিলো খুবই কঠিন। কেমন ছিলো সেই চ্যালেঞ্জের আগ ও পরের মহুর্তগুলো। কতগুলো প্রযুক্তি এই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির পুরাধার হাত ধরে দেশের কৃষিতে এসছে। এরকম নানা বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে এগ্রিকেয়ার২৪.কম।

আরও পড়ুন: উন্নত গবেষনায় জলবায়ু সহিষ্ণু শষ্যের জাত উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে; ড. আনসারী