নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এক লাখ ৬৮ হাজার ১৭৫ জন কৃষকদের নামে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহর ও ঋণ মওকুফের দাবিতে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির উদ্যোগে আজ শনিবার (২৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এতে আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা: সামছুল আলম সভাপতিত্ব করেন।

উপস্থিত জাতীয় নেতারা বলেন, এক লক্ষ আটষট্টি হাজার একশত পঁচাত্তর জন কৃষকদের নামে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহর ও ঋণ মওকুফ করতে হবে। প্রতি বছর সারাদেশে আগাম বৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, পাহাড়ী ঢলে পানিতে কৃষকরা ব্যপক ভাবে কৃষি পণ্য নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

তারা বলেন, এ কারণে সরকারি বাণিজ্যিক ব্যংক থেকে ঋণ নিয়ে যথা সময় পরিশোধ করতে পারে নাই। ১৯৯১ সাল থেকে সরকার সারাদেশে কৃষকদের নামে সার্টিফিকেট মামলা করছে। যে কৃষক সারাদেশে সকল জনগণের জন্য অন্ন যোগার করে আর সরকার সেই কৃষকের নামে একলাখ আটষট্টি হাজার একশত পচাত্তরটি মামলা করেছে।

বক্তারা দাবি করেন, কৃষক এখন মামলার জালে দিশেহারা হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, এ সব মামলার বিপরীতে কৃষদের কাছে পাওনা সরকারি বাণিজ্যিক ব্যংকগুলো পাঁচশত পনের কোটি চোয়াত্তর লক্ষ টাকা। সবার দাবি কৃষকদের সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার ও ঋণ মওকুফ করতে হবে।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের যোগসাজে বাণিজ্যিক ব্যংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে লুটপাটকারীরা তাদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ও লুটপাটকারীদের শাস্তির কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।

আর গরীব কৃষক যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে , রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে সারাদেশের জনগণের খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষি পণ্য উৎপাদন করে থাকে সেই কৃষকের নামে সার্টিফিকেট মামলা দিয়ে কোমড়ে রশি বেধে হাজত খানায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার।

আমরা এর প্রতিবাদ জানাই সারাদেশের কৃষকদের নামে সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার ও কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিতে হবে। নচেত সারাদেশের কৃষকদের নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

গণজমায়েতে বক্তব্য দেন দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কমরেড আলী হোসেন, বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ মাষ্টার), জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, স্বাধীনতা পার্টির মহানগর নেতা সাংবাদিক হুমায়ুন মজিদ, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আবদুল হক ঘারামী, উন্নয়ন সমন্বয়ক-সংগঠক মাহবুবুর রহমান খোকন সহ আয়োজক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।