আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: খাদ্য আমদানি ও সহায়তার ওপর অত্যধিক নির্ভরশীল হওয়া সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ায় শস্য উত্পাদন বাড়ছে না বরং কমছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটির সঙ্গে সুর মিলিয়ে দেশটিও জানিয়েছে, তারা কৃষি খাতে ‘পিছিয়ে রয়েছে। খবর এএফপি।

দীর্ঘসময় ধরেই উত্তর কোরিয়া কৃষি উত্পাদনের ক্ষেত্রে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। এ প্রসঙ্গে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের সচিব পাক পুং জো সম্প্রতি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, অতীতে কিছু খামার ও ইউনিট পিছিয়ে যাওয়ার কারণেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি জানান, তারা দায়িত্বশীলভাবে বীজ উত্পাদন এবং এর ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সঠিকভাবে বণ্টনেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তারা।

শস্য উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি। পাঁচ বছর মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২০ সালে এ পরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি-বিষয়ক সংস্থা এএফও চলতি মাসে জানিয়েছে, আসন্ন বছরে বিচ্ছিন্ন ও পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশটিকে ৬ লাখ ৪১ টন খাদ্য আমদানি করতে হবে, যা চলতি বছরের ৪ লাখ ৫৬ হাজার টনের চেয়ে বেশি।

কিন্তু এর পরও দেশটিজুড়ে ব্যাপক হারে খাদ্য ঘাটতি রয়েছে। এফএওর তথ্যমতে, বিশ্বের যে ৪০ দেশে বহির্বিশ্বের খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন, তার মধ্যে উত্তর কোরিয়াও রয়েছে।

জাতিসংঘের হিসাবে আরো দেখা গেছে, ১ কোটি ৩ লাখ উত্তর কোরিয়াবাসীর মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, বেশি বেশি সহায়তা পাওয়ার কারণে দেশটি জনসাধারণের দিকে তাকানোর পরিবর্তে উচ্চাভিলাষী সামরিক কার্যক্রমে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সূত্র: বণিক বার্তা।