কৃষিতে বরাদ্দ ১৪ হাজার

ডেস্ক, প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এবারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ ১৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা, পূর্বের প্রণোদনা বহাল রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনের সময়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন।

১৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার মধ্যে পরিচালন ব্যয় ১২ হাজার ১২৩ কোটি ২ লাখ টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ১ হাজার ৯৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।



তবে গত অর্থ বছরের ন্যায় ২০১৯-২০ অর্থবছরেও রাসায়নিক সার, কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা, বিদ্যুৎচালিত সেচ যন্ত্রের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ বিলের ওপর ২০ শতাংশ রিবেট প্রদানসহ অন্যান্য কৃষি প্রণোদনাও অব্যাহত থাকবে।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, কৃষি খাতে এই বরাদ্দ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় বন্যা, খরা ও লবণাক্ত সহিষ্ণু ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসলের জাত উদ্ভাবন ও বীজ উৎপাদন এবং হাইব্রিড বীজ উৎপাদনে ব্যয় করা হবে।

তিনি বলেন, এছাড়া কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন এবং কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রস্তুত ও বিতরণ করা হবে। কৃষি আমাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। কৃষিখাতের প্রধান উপকরণসমূহ, বিশেষ করে সার বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শুন্য শুল্ক হার অব্যাহত রাখা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী জানান, মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের টেকসই উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে এই খাতের খাদ্য সামগ্রী ও বিভিন্ন উপকরণ আমদানিতে বিগত সময়ে প্রদত্ত রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রেখে নতুন উপকরণ ও যন্ত্রাপাতিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফসল উৎপাদনে মোট উপকরণের ৪৩ শতাংশই খরচ সেচে

বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ ১৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা, পূর্বের প্রণোদনা বহাল মোটামুটিভাবে গত অর্থবছরের মতোই। নতুন তেমন কোন বড় চমক নেই।

সংসদে বাজেট এর লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, কৃষিতে রাসায়নিক মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণোদনা দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে এবং এর ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় তা কৃষিপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা রেখেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই খাতে ৫ হাজার ২০১ কোটি টাকা সরকারের ব্যয় হয়।

২০১৯-২০ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় ফসলের বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন কার্যক্রমে গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। বন্যা, খরা, লবণাক্ত ও অধিক তাপমাত্রা সহিষ্ণু ফসল এবং বহুমুখী পাটপণ্য উদ্ভাবনের গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয় বাজেটে।

ফসল কর্তন ও পরবর্তী কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় কাজগুলো যান্ত্রিকীকরণে কৃষকদের উৎসাহিত করতে এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। দেশে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী প্রায় ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন কৃষক এসব সুবিধা পাবেন।

বাজেট বক্তব্যে বলা হয়, দেশের প্রায় ৪০ দশমিক ৬২ শতাংশ মানুষ কৃষিখাতে নিয়োজিত। দেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পেলেও বিগত ১০ বছরে কৃষিখাতে ৩.৭ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।