ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা (এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস-গ্যাপ) নীতিমালা এবার অনুমোদন করছে সরকার। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ‘বাংলাদেশ গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস নীতিমালা, ২০২০’ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এই বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে অংশ নেন।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের সুরক্ষায় নীতিমালা করছে সরকার

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। নিরাপদ খাদ্যপণ্যের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদনের শুরু থেকে সংগ্রহ ও সংগ্রহোত্তর প্রক্রিয়াকরণ, যেমন- মাঠ থেকে সংগ্রহ, প্যাকেজিং, পরিবহন ইত্যাদি পর্যায়ে উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করা প্রয়োজন। এটা আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশ ও যারা আমাদের এখান থেকে (কৃষিপণ্য) ক্রয় করে তারা বারবার তাগিদ দিচ্ছে যে, আপনাদের গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস (গ্যাপ) নীতিমালা করতে হবে, না হলে আপনাদের এখান থেকে (পণ্য) নেব না।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের আইটেম আমরা যখন বিভিন্ন দেশে রফতানি করি, এগুলো (উত্তম কৃষি চর্চা) নিয়ে কথাবার্তা হয়। চিংড়ির কথা বলি, চিংড়ি পরীক্ষার একটা ইনস্টিটিউট সাভারে আছে, যারা চিড়িং উৎপাদন করে তাদের ঘের থেকে স্যাম্পল পাঠায়, টেস্ট করে ওকে করলে সেটাই শুধুমাত্র বাইরে এক্সপোর্ট করা যায়।’

আরও পড়ুন: কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে সভা

‘শুধু বাইরে নয়, দেশের ভেতরেও যেগুলো সাপ্লাই দেয়া হবে সেগুলো এই নীতিমালার অধীনে মান ঠিক করে নিতে হবে, ভেরিফাই করে নিতে হবে।এটার জন্যই গ্যাপ নীতিমালা হয়েছে।’ নীতিমালার উদ্দেশ্য তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটার কতগুলো উদ্দেশ্য আছে, সেগুলো হলো- নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন ফসলের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত, পরিবেশ সহনীয় ফসল উৎপাদন নিশ্চিতকরণ এবং কর্মীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণ সাধন করা।’

কৃষিপণ্য উৎপাদনে এবার গ্যাপ নীতিমালা অনুমোদন শিরোনামে সংবাদের তথ্য জাগো নিউজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি