কৃষিবিদ ড. আখতারুজ্জামান, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মেহেরপুর: ‘ভিশন ২০৪১: ফিউচার অব ফুড অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফার্মিং ইন বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছে কৃষিবিদদের ৬ষ্ঠ জাতীয় কনভেনশন।

আজ শনিবার ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশান অব বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে শুরু হওয়া দুইদিন ব্যাপী ৬ষ্ঠ জাতীয় কনভেনশন, আন্তর্জাতিক সেমিনার, কাউন্সিল অধিবেশন ও বার্ষিক সাধারণ সভা শুরু হয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবিদদের মিলনমেলার এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বেলুন উড্ডয়ন ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়নে কৃষিবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে কৃষির সার্বিক উন্নতির একটা চমকপ্রদ ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে কেআইবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব কৃষিবিদ খাইরুল আলম প্রিন্স কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ও কৃষিবিদদের কল্যাণে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ইতিবাচক কার্যক্রমের একটা অনুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরেন। সেইসাথে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণে কৃষিবিদদের কিছু দাবী দাওয়া পেশ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী, মতিয়া চৌধুরি, এমপি মহোদয় কৃষি উন্নয়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ব্যাপারে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরিশেষে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী রবি ঠাকুরের

‘তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি’ উক্তি ব্যক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্ত করার আহবান জানান।

কেআইবি’র তথা আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষিবিদ এএমএম সালেহ বঙ্গবন্ধুর একটা উক্তি “খায় দায় চান মিয়া, মোটা হয় জব্বার” ব্যক্ত করে দেশ জাতির জন্যে কৃষিবিদের অবদান উল্লেখ করে তাঁদের যৌক্তক দাবী পূরণের আহবান জানান। সভাপতি মহোদয় দৃঢ়ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা উক্তি কোট করে বলেন, “ত্যাগী কর্মীরা অভিমানী, কিন্তু বেঈমান নন”।

আমরা কৃষিবিদরাও অভিমানী কিন্তু বেঈমান নই, সুতরাং আগামী নির্বাচনে সকল কৃষিবিদ আপনার হাতকে শক্তিশালী করবার জন্যে বদ্ধপরিকর।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি ও কৃষিবিদদের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর অবদান সহ বর্তমান সরকারের গৃহীত ইতিবাচক কর্মকান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, না চাইতে কৃষিবিদদের তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন, সুতরাং কৃষিবিদদের ন্যয্য পাওনা যথা সময়ে প্রদান করা হবে, চাইতে হবেনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সর্বদা কৃষিবিদ পরিবেষ্টিত অবস্থায় থাকেন। তাঁর কার্যালয়ের সচিব কৃষিবিদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ, তাঁর সংসদে অনেকজন কৃষিবিদ রয়েছেন। সুতরাং সবখানে কৃষিবিদদের জয়জয়কার অবস্থা।

পরিশেষে কৃষিবিদদের কল্যাণে সবিশেষ অবদান রাখার জন্যে মাদারীপুর-৩ আসনের মাননীয় সাংসদ বন্ধুবর আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমকে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশানের পক্ষ হতে আজীবন সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

আমার দেখা এই প্রথমবারের মত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষিবিদ এই কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন। সব মিলিয়ে কৃষিবিদদের এই মনোজ্ঞ মিলন মেলা বেশ উপভোগ্য ছিল। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ছিল সন্তোষজনক।