কোয়েল পালনের আর্থিক সুবিধা

পোষা প্রাণি ও পাখি শিল্প ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পোলট্রিতে এগারটি প্রজাতির মধ্যে মধ্যে কোয়েল অন্যতম। কোয়েল পালনের আর্থিক সুবিধা ও জাত নির্বাচন-পর্ব: ১ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।

ছোট আকারের গৃহপালিত পাখি হলেও কোয়েল পালনে আর্থিক অনেক উন্নতি লাভ করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে অন্যান্য পোলট্রির তুলনায় কোয়েলের মাংস এবং ডিম গুণগতভাবে উৎকৃষ্ট।

পুষ্টিগুণ দিক দিয়েও কোয়েল পাখি অনেক এগিয়ে। আনুপাতিক হারে কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং আমিষ বেশি। একটি মুরগির পরিবর্তে ৮টি কোয়েল পালন করা সম্ভব। কাজেই বাড়ির আঙিনায় ঘরের কোণে ১০-২০টা কোয়েল অতি সহজেই পালন করা যায়।

কোয়েল পাখি প্রতিপালন করে পারিবারিক পুষ্টি জোগানের সাথে সাথে অতিরিক্ত কিছু আয় করা সম্ভব। স্বল্প মূল্যে, অল্প জায়গায়, অল্প খাদ্যে কোয়েল পালন করা যায়।

আরও পড়ুন: কবুতরের পক্স রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি

কোয়েল পালনের সুবিধা: কোয়েল দ্রুত বাড়ে, ৬-৭ সপ্তাহে ডিমপাড়া শুরু করে এবং বছরে ২৫০-২৬০ টি ডিম পাড়ে। ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং প্রোটিনের ভাগ বেশি। কোয়েলের দৈহিক ওজনের তুলনায় ডিমের শতকরা ওজন বেশি। ৮ থেকে ১০টা কোয়েল একটি মুরগির জায়গায় পালন করা যায় এবং ১৭-১৮ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।

রোগবালাই খুব কম এবং খাবার খুবই কম লাগে। বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের উপযোগী। অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অল্প দিনে বেশি লাভ করা যায়।

কোয়েলের জাত: পৃথিবীতে বর্তমানে ১৭-১৮ জাতের কোয়েল আছে। অন্যান্য পোলট্রির মতো কোয়েলের মাংস এবং ডিম উৎপাদনের জন্য পৃথক পৃথক জাত আছে।

পৃথিবীতে কোয়েলের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘জাপানিজ কোয়েল’অন্যতম। উল্লেখ্য বিভিন্ন জাতের কোয়েলের প্রকৃত উৎস জাপানিজ কোয়েল।

কোয়েল পালনের আর্থিক সুবিধা ও জাত নির্বাচন-পর্ব: ১ সংবাদটির লেখক কৃষিবিদ ডা. ফারহান ইমতি ভূইয়া, বন্ধন, পীরেরবাগ, ঢাকা। কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।