সজিব ইসলাম, চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ ক’দিন আগেও তরমুজ কাণ্ডে জড়াতে হয় প্রশাসনকে। কিন্তু বর্তমানে ক্রেতা না থাকায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বাজারগুলোতে কমেছে রসালো ফল তরমুজের দাম। এখন ক্রেতা খুঁজছে তারা।

রমজানের শুরুতে ক্রেতাদের চাহিদাকে পুঁজি করে তরমুজের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বাড়িয়ে প্রায় ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছিল বিক্রেতারা। মাঠ থেকে কৃষকের কাছ থেকে কম দামে কিনলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা পাইকারি বাজারে ইচ্ছেমত দাম বাড়িয়ে তরমুজের দাম বাড়িয়ে দেয়।

গরমে ইফতারে স্বস্তি পেতে পরিবারে ক্রেতাদের কাছে তরমুজের চাহিদাও বাড়ে কয়েকগুণ। মূলত এই চাহিদাকে কেন্দ্র দাম বাড়িয়ে দেয়া হয় তরমুজের।

এ নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসন তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রির নির্দেশনা দিলেও বিক্রেতারা সেই নির্দেশের তোয়াক্তা করিনি। তারা তাদের নিজের ইচ্ছেমত দাম বাড়িয়ে দেয়। সেভাবেই বেশি দামি তরমুজ বিক্রি হয়। এরমধ্যেই ক্রেতারা তরমুজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় দাম কমতে শুরু করে। এক লাফে তরমুজের দাম কমে ৩০ টাকা কেজিতে নেমে আসে।

রবিবার (৯ মে ২০২১) সরেজমিনে, চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। তবে পূর্বের তুলনা তেমন একটা বিক্রি করতে দেখা যায়নি।

রমযানের শুরু থেকেই খরতাপে রাজশাহী জেলার আবহাওয়া উত্তপ্ত ছিল। করোনাকালীন সময় হওয়ায় ক্রেতারা ইফতারে খাওয়ার জন্য তরমুজের উপর বেশি ঝুঁকে পড়ে। রোজার কয়েকদিন পর্যন্ত ৩৫ টাকা কেজিতে তরমুজ বিক্রি হলেও কয়েকদিন পার হতে না হতেই তরমুজের দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে উঠে। তারপরও ক্রেতারা তরমুজ কিনছিলো। তবে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।

প্রশাসন বাজার মনিটরিং করে দাম কমিয়ে আনার নির্দেশনা দিলেও কোনো রকম তোয়াক্কাই করেনি বিক্রেতারা। এরপরে ক্রেতারা তরমুজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে বিক্রিও কমে যায়। তারপর দাম কমে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি শুরু হয়। এখন সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার সারদা বাজারে তরমুজ কিনতে আসা মিজানুর আলী নামে একব্যক্তি বলেন, এরা চাহিদাকে পুঁজি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল অধিক লাভের আশায়। ক্রেতারা কেনা কমিয়ে দেওয়ার কারণে আবার দাম কমেছে। এভাবে বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া অন্যান্য জিনিসও যদি ক্রেতারা কমিয়ে দেয় তাহরে স্বাভাবিক দাম কমে যেতে বাধ্য।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, ভিন্ন কথা। বিক্রেতাদের দাবি তারা এখন কম দামে তরমুজ কিনছেন এজন্য কম দামেই বিক্রি করছেন।

অন্যদিকে ক্রেতাদের দাবি, সচেতন থাকতে হবে যাতে মধ্যস্বত্বভোগীরা অধিক লাভ করে মানুষের পকেট কাটতে না পারে। সচেতনতার মাধ্যমেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

উপজেলার শলুয়া মালেকার মোড় বাজারের তরমুজ বিক্রেতা নাহিদ হাসান বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমে যাওয়ায় খুচরা বাজারে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করা হয়। কম দামে তরমুজ কিনতে পেরে অনেকটাই স্বস্থি পেয়েছেন সাধারন ক্রেতারা।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ