নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ক্ষুদ্র খামারীরা ধ্বংস হোক সরকার চায় না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। এ সময়ে তিনি সরকারি ও বেসরকারি সবার সমান অংশগ্রহণে প্রাণি ও মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

আজ শনিবার (৩১ মার্চ) গবাদি পশু-পাখির ফিড ও ঔষধ প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিলার ও খামারীদের ‘এগ্রো সম্মেলন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা ও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, যদি সরকারি-বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা এবং খামারীরা এগিয়ে না আসেন তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করা সরকারের পক্ষে একক ভাবে সম্ভব নয়।

মন্ত্রী শুধু মাছে-ভাতে বাঙালি না হয়ে আমাদের মাংস ও মাছ দিয়ে মূল্যসংযোজিত বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যোৎপাদন এবং গুণগতমানসম্মপন্ন প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস উৎপাদনের ওপর জোড় দেন।

সরকার এপ্রিল মাসে মৎস্য ও প্রাণী্জ আমিষ উৎপাদনকারী, ফিড ও ঔষধ প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ী এবং খামারীদের নিয়ে একটি নীতিমালা করার চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।

মাছ-মাংস ও দুধ-ডিমের উৎপাদন ব্যয়ের সাথে বিক্রয় মূল্যের সামঞ্জস্যতা রক্ষায় একটা নীতিমালা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে আমাদের প্রক্রিয়াজাত এসব পণ্য বিদেশেও রপ্তানী করা যেতে পারে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস ও খাদ্যের আন্তর্জাতিক মানবজায় রাখতে না পারলে আমরা যথাযথ বৈদেশিক মূদ্রার্জনে আমরা ব্যর্থ হবো।

তিনি জানান, সরকার, খামারী ও ফিড ও ঔষধ-ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করতে পারলে উন্নত দেশে পৌছানো যাবে।

এ সময়ে ফিডের উচ্চমূল্য এবং কাঁচামালের আমদানি ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনতে অর্থ, কৃষিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সাথেও আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার প্রয়োজনের ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।