ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় শস্য ক্রয় প্রতিষ্ঠান এসএজিও দেশটির বিদেশের জমিতে শস্য উৎপাদনে বিনিয়োগকারী সংস্থা সৌদি এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড লাইভস্টক ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের (এসএএলআইসি) কাছ থেকে ৬০ হাজার টন ইউক্রেনের গম ক্রয় করেছে।

বিদেশের জমিতে নিজেদের উৎপাদিত এটাই প্রথম গম ক্রয় দেশটির। নভেল করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। এসএজিওর দাপ্তরিক সূত্র সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের ভৌগোলিক গঠন ও আবহাওয়াগত কারণে শস্যের আবাদ নেই বললেই চলে। অভ্যন্তরীণ মোট খাদ্য চাহিদার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আমদানির ওপর নির্ভরশীল দেশটি। এ পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগ করে। এর আওতায় দেশটি হাজার হাজার হেক্টর সস্তা

জমি ক্রয় ও অন্যান্য কৃষি সম্পদ ক্রয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে বিদেশে কৃষি জমিতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে আসছে।

আরোও পড়ুন:করোনায় বিশ্বে ১৫০ কোটি মানুষ কর্মহীন হবে: আইএলও

সৌদি আরবের সর্বোত্তম সম্পদ তহবিলের মধ্যে এসএএলআইসি অন্যতম। মরুভূমির রাজ্যটির অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিদেশের জমি কিনে ফসল উৎপাদনসহ অন্যান্য কৃষি খাতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে। তবে সাম্প্রতিক গম ক্রয়ের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এর আগে ৬ এপ্রিল বিদেশের কৃষি জমিতে বিনিয়োগকারী বেসরকারি খাতকে চলতি বছরের মোট অভ্যন্তরীণ চাহিদার ১০ শতাংশ গম সরবরাহ করার জন্য বলেছিল সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রীয় শস্য ক্রয় সংস্থার প্রাক্কলন অনুযায়ী, এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টন গম ক্রয় করার প্রয়োজন হতে পারে।

মূলত নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে অভ্যন্তরীণ খাদ্য সরবরাহ চক্র স্বাভাবিক রাখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ খাদ্যশস্য রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া দেশে দেশে লকডাউনের জেরে আন্তর্জাতিক খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সৌদি আরব বিচলিত হয়ে পড়েছে এবং শস্যের মজুদ বৃদ্ধির পরিকল্পনা থেকে বেসরকারি খাতকে এমন তাগাদা দিয়েছে দেশটি।

এসএজিও আরো বেশি গম কিনতে ইচ্ছুক। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গত রোববার বিনিয়োগকারীদের সাবস্ক্রাইব করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রথম দফায় দুটি কোম্পানি পণ্যটি বিক্রির উদ্দেশ্যে নিবন্ধন করেছে। এসএজিওর প্রকাশিত আইন অনুযায়ী, যেসব বিনিয়োগকারী তাদের বিদেশী কৃষি জমি থেকে গম বিক্রির জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে নিবন্ধন করবে, তাদের কমপক্ষে ৫১ শতাংশ সৌদি মালিকানাধীন হতে হবে।