নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জন মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৪৯৩ জনে। যা একদিনে মৃত্যুর হিসেবে এটি সর্বশেষ ৮০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ১৬ জুন করোনায় ৬০ জন মারা গিয়েছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭৪৩ জনের। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১২ হাজার ২৬ জনে।

২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪২৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩ জন।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।যা গত ৩ মাসের পর এই প্রথম শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলো।

এর আগে গত গত ৩ জুনের শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে ছিলো। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৫৪ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৫০টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫২টি।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৩২ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৩, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ৬, বরিশালে ২, সিলেটে ১, রংপুরে ২ এবং ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন।

নারী ও পুরুষের হিসাবে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৩১ জন নারী। এদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ১৪৮ জন এবং নারী ৯ হাজার ৩৪৫ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৪, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৬ জন এবং ২১-৩০ বছরের ২ জন মারা গেছেন।

দেশে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছায়। দেশে ৫ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।

তবে আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতির ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিন দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু দ্রুত কমে আসছে। এরই মধ্যে চলতি মাসেই স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

লকডাউনের প্রভাবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সংক্রমণে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়।

ঈদের পর সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। আগের কয়েক সপ্তাহে প্রতিদিন মৃত্যু ছিল ২০০ এর বেশি মানুষের। তবে গত সাত দিনেরও বেশি সময় ধরে মৃত্যুর সংখ্যা দুইশ’র নিচে রয়েছে।

এর আগে শনিবার ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ৭৯ জনের মৃত্যু হয়। সোমবার করোনায় ৯৪ জনের মৃত্যু হয়। রোববার করোনায় ৮৯ জনের মৃত্যু হয়।

এতে টানা ৬৩ দিন পর মৃত্যু একশর নিচে নামে। এর আগে শুক্রবার করোনায় ১১৭ জনের মৃত্যু হয়। ১৩ আগস্ট আবার মৃত্যুর সংখ্যা ২শর নিচে নামা শুরু করে। আগের কয়েক সপ্তাহে প্রতিদিন মৃত্যু ছিল ২শ’র বেশি মানুষের।

এগ্রিকেয়ার/এমএএইচ