কৃষিবিদ সমীরণ বিশ্বাস, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ধানের তুষ ফেলে দেওয়ার পর চালের উপর যে লালচে আবরণ থাকে তাকে বলে রাইস ব্রান। রাইস ব্রান- চালের বাদামি আবরণ সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন। গবাদিপশুকে রাইস ব্রান খাওয়াবেন যেসব কারনে সে বিষয়েই আজকের আলোচনা।

গবাদিপশুকে রাইস ব্রান খাওয়ানোর উপকার মূলত প্রোটিনের তারতম্যের কারণে। রাইস ব্রান এ প্রায় ১৪% প্রোটিন, ২২-২৬% তেল, ৩৪-৩৮% শর্করা, ১০% খনিজ ও ভিটামিনস এবং বাকিটা ফিলার (filler) দ্রব্য। এটি খাদ্য উপাদান হিসাবে উত্তম। এটি ‘A’ ক্যাটেগরীর উপাদান।

অটোম্যাটিক রাইস মিলে প্রাপ্য-রাইস পালিশঃ
চালের ছাটা অংশ প্রায় ৮০-৮২% ও ব্রান ১৮-২০%। এতে প্রায় ৬-৭% প্রোটিন, ৪-৫%তেল, ৭২-৭৫%শর্করা, ২% খনিজ ও ভিটামিনস এবং বাকিটা ফিলার (filler) দ্রব্য। এটি ”B-” ক্যাটেগরীর খাদ্য উপাদান হিসাবে গণ্য।

পড়তে পারেন: গরু মোটাতাজা করণে যেসব খাবার দিবেন

ধান মিলের ব্রানঃ
এটা যদি প্রকৃতই হয়ে থাকে তাহলে অটোব্রানের প্রায় ৬০% গুনগত মান থাকে। কিন্তু বাজার ঘুরে আমি ভাল মানের পাইনি। এটা না খাওয়ানোর জন্যই আমি পরামর্শ দেই।

রাইস হাস্কঃ
ধানের তুষের সাথে স্বল্পতম পরিমানে ব্রান। প্রায় ৮০-৮৫% তুষ (ট্রু ফাইবার=পুষ্টি হীন) এর সাথে ১৫-২০% ব্রান; যা কোন মতেই খাদ্য উপাদান হিসাবে গ্রহন যোগ্য নয়! প্রায়ই বাজারে গোখাদ্য নামে অখাদ্য প্রাপ্তি! কৃপণ লোকেরা এটা বেশী খায়! মানে খাওয়ায়!

পড়তে পারেন: দেশী ছাগল মোটাতাজাকরণ খামার তৈরির কৌশল

ডিওআরবি:
এটি রাইস ব্রানের থেকে তেল বের করে নেয়ার পর যে উপজাত পাওয়া যায়। এতে প্রায় ১৬-১৮% প্রোটিন, ৪২-৪৮% শর্করা, ১২-১৩% খনিজ ও ভিটামিনস এবং বাকিটা ফিলার দ্রব্য। খাদ্য উপাদান হিসাবে সর্বোত্তম এবং এটি ”A+” ক্যাটেগরীর। তবে এতে তেল না থাকায় এর সাথে ১ নং রাইস ব্রান ২:১ অনুপাতে মিশালে সব সমস্যার সমাধান হবে।

আশা করি মাছ চাষী ও গবাদিপশু পলনকারীরা ব্যাপারটি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বোঝাতে পারবেন। বিভিন্ন ছবিতে হাস্ক বা তুষ, ব্রান ও রাইস পালিশের অবস্থান দেখানো হয়েছে।

গবাদিপশুকে রাইস ব্রান খাওয়াবেন যেসব কারনে লেখাটি এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে পাঠিয়েছেন কৃষিবিদ সমীরণ বিশ্বাস।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ