গরুর মাংসের দাম কমানো

মো. শাহ এমরান, স্বপ্ন ডেইরির স্বত্বাধিকার ও তরুণ শিক্ষিত উদ্যোক্তা, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শাহ এমরানগরুর মাংসের দাম কমানো সম্ভব, যা করতে হবে। মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ৷ ভোক্তাদের জন্য মাংসের দাম কমানোর লক্ষ্যে এখন সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রয়োজন খামারিদের।

সহযোগিতা পেলে দেশের খামারিরা বর্তমান বাজার দর থেকে ২০% থেকে ২৫% কম মূল্যে আন্তর্জাতিক বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মূল্যে দেশে ভোক্তাদের জন্য মাংস সরবারহ করতে পারবেন৷



আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে সম্ভব দেশে গরুর মাংসের দাম কমানো। শুরুতে কিন্তু বলে রেখেছি যে সরকারি সহযোগিতা দরকার। কীভাবে সেই সহযোগিতা দেশের খামিরারা পেতে পারেন তার কিছু তথ্য তুলে ধরছি নিচে।

সিন্ডিকেট করে গো খাদ্যের মূল্যের উর্ধগতি রোধ করা, বিদ্যুৎ/পানির বিল বানিজ্যিক থেকে কৃষির আওতায় আনা, পতিত জমি খামারিদের ফডার চাষে লীজ দেয়া, ফডার(ঘাস/ভুট্টা) চাষীকে সহজ শর্তে ঋণ সহ বীজ/মেডিসিন ফ্রি সরবারহ করা, উৎপাদক থেকে ভোক্তার কাছে সরাসরি পৌঁছাতে কাঠামোগত বাজারজাতকরণ সহযোগিতা করা, মাংস জাত উন্নয়নের জন্য বিদেশ থেকে উন্নত ষাড়ের সিমেন/এমব্রায়ো আমদানী সহজ করা, উন্নত মানের কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরী করা, পশু চিকিৎসা ও সেবার মান নিশ্চিত করা, ২০ বছরের আয়কর সুবিধা দিয়ে বাণিজ্যিক খামার তৈরীতে ব্যাবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা, বিদেশ থেকে প্রসেস মিট আমদানী না করে দেশে প্রসেস মিট কোম্পানীদের প্রনোদনা দেয়া, আধুনিক যন্ত্রপাতি ভূর্তুকী মূল্যে এনে খামারিদের সরবারহ করা, খামারিদের সহজ শর্তে ঋন প্রদান করা, যথাযথ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা।

এসব কাজ করা খুব কঠিন না, দরকার সরকারের সুদৃষ্টি। তবেই হবে হাতের নাগালে মিলবে স্বল্প দামে মাংস। বড় ধরণের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

এতে শুধু খামারিরাও উপকৃত হবেন না গোটা দেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। গ্রামীণ অর্থ অর্থনীতি হবে আরও মজবুত। গরুর মাংসের দাম কমানো সম্ভব, যা করতে হবে এমন মন্তব্যের সাথে দেশের খামারি, উদ্যোক্তা সবাই একমত।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্য জোট মারকোসারভুক্ত চার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) গত ৮ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি ধারণাপত্র পাঠিয়েছে।

তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল নেবে আরও পোশাক এরপাশাপাশি ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশ গরুর মাংস আমদানি করবে। এর ফলে উভয় দেশই লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এ জন্য অবশ্য দুই পক্ষকেই পরস্পরের পণ্যের ওপর শুল্ক হার কমাতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে গরুর মাংস আমদানির আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশিয় উদ্যোক্তা-খামারিদের।

আরও পড়ুন: গরুর মাংস আমদানির আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান