ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার, যশোর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, এগ্রিকেয়ার২৪.ডেস্ক: আজ ডিডি, ডিএলএস, খুলনা বিভাগ স্যারকে সঙ্গে নিয়ে যশোরের শাশা (নাভারণ) উপজেলার কয়েকটি গাভীর খামার পরিদর্শন করি।

জনাব তারিফুল আলম, এই মূহুর্তে ৩৩টি গাভী রয়েছে তার খামারে। দৈনিক দুধ উৎপাদন ১৫০লি:। জনাব সাদিকুল ইসলাম মিলন। গাভী ৪২টি। দৈনিক দুধ উৎপাদন ১৮০লি:। জনাব আ:হান্নান রনি; গাভী: ৩৫; দৈনিক১৯০লি: দুধ।

এ রকম অসংখ্য সফল খামারি এ জেলার তথা সারা দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নীরবে নিভৃতে দুধ উৎপাদন ক’রে একটি বুদ্ধিদীপ্ত, মেধা-মননে সমৃদ্ধ জাতি গঠনের মত মহান দায়িত্ব পালন করে চলেছে তারা।

 

দেশের জন্য তাদের এই মহতি ভূমিকার স্বীকৃতি নিয়ে কেউ ভাবে না। মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিবিদ, আমলা, শিক্ষিত, সচেতন সুশীল সমাজ–যাদের খাবার টেবিল সমৃদ্ধ হয় না, সামাজিক সম্মান প্রতিপত্তি বাড়ে না- দুধ, দুগ্ধজাত নানা ধরনের উপাদেয় মিষ্টি, দধি, বাটার, পনির ইত্যাদি টেবিলে না থাকলে- তারাও কখনো এই পরিশ্রমী/ত্যাগী মানুষগুলোকে ভাববার অবকাশ পান না অথবা ভাববার প্রয়োজন মনে করেন না।

কিন্তু সময় এসেছে এখন এদের নিয়ে ভাববার। শুধু গোষ্ঠী বিশেষের স্বার্থ রক্ষা না ক’রে হাজার হাজার কোটি টাকার গুড়ো দুধ আমদানি বন্ধ ক’রে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সীসার মত হেভি মেটাল, মেলামাইন, তেজস্ক্রিয়তার ছোবল থেকে রক্ষা করার সময় এসেছে।

দেশের খামারিদের ঋণ দিয়ে, গোখাদ্যে ভর্তুকি দিয়ে এদের পৃষ্ঠপোষকতা দিতে পারলে বৈদেশিক অর্থ যেমন বাঁচবে, সুস্থ মেধাবী প্রজন্ম তৈরি হবে, নতুন নতুন প্রাণিসম্পদ উদ্যোকতা সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে, দারিদ্র্য নিরসন ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।