প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে গোপনে ৪০ ওয়াগন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে এক আমদানিকারকের বিরুদ্ধে।

বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার ব্যাপারে গত ৫ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে পেঁয়াজ আমদানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফিজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রায়হান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোয়ালপাড়ার ইমরান মার্কেটের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাসুদ আলম ভারত থেকে ৪০ ওয়াগন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলেন। সেই পেঁয়াজ দু-এক দিনের মধ্যেই ভারতের গেদে রেলস্টেশন হয়ে দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে দেশে ঢুকবে; যার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

পড়তে পারেন: আমদানি বন্ধের খবরে পেঁয়াজের কেজিতে বাড়লো ৬ টাকা

দর্শনা রেলস্টেশনের সুপারিনডেন্ট মীর লিয়াকত আলী বলেন, ভারত থেকে কী পণ্য আমদানি করা হয়, তা আগেই আমাদের জানা সম্ভব হয় না। পণ্যবাহী ট্রেন দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছানোর পর ওই ট্রেনের দায়িত্বরত ব্যক্তি আমাদের কাছে আমদানি করা পণ্যের কাগজপত্র হস্তান্তর করে।

সেগুলো পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আমরা ওই কাগজপত্র দাপ্তরিকভাবে দর্শনা কাস্টমসে পাঠায়। দর্শনা কাস্টমস থেকে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসে ট্রেনের ওয়াগন খুলে সেগুলো নিরীক্ষা শেষে তবেই ছাড়পত্র দেয়। তারপর আমদানি পণ্যর ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর ফলে আমদানি নিষিদ্ধ কোনো পণ্যই দেশে প্রবেশ সম্ভব নয়।

পড়তে পারেন: ভারতীয় পেঁয়াজ আসা বন্ধ, বাড়বে দেশীর দাম

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কাস্টমস সুপার শুভাশীষ কুন্ডু জানান, পেঁয়াজ আমদানি বিধিনিষেধের কোনো দাপ্তরিক চিঠি আমাদের হাতে আসেনি। তবে পেঁয়াজ আমদানির ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিধিনিষেধের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ