নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দুর্ভিক্ষ আসছে এই আতঙ্কে মানুষ যাতে ৩-৪ গুণ খাদ্য কিনে মজুদ না করে, গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ আসবে না, আসবে না, আসবে না।

রোববার দুপুরে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ কক্ষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপদ খাদ্য আইন ও বিধিপ্রবিধি অবহিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা এবং খাদ্যপণ্য রফতানির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সনদ প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যে দেশের মাটিতে বীজ দিলেই ফসল হয়, আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে, ইরি ও বোরোর জন্য পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে, খাদ্যের মজুদ থাকার পরেও আমদানি অব্যাহত রয়েছে, সেখানে দুর্ভিক্ষের প্রশ্নই আসে না।

সাধন চন্দ্র বলেন, আগে খাদ্য রফতানি করতে গেলে বিদেশ থেকে কর্তৃপক্ষ এসে সনদ দিত। এখন থেকে আর সেটির প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশই আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সনদ দিবে। এতে করে সারাবিশ্ব জানবে, বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য পাওয়া যায়। যার ফলস্বরূপ, রফতানি আরো ত্বরান্বিত হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার।

এ সময় ইএসএল বাংলাদেশ লিমিটেড ও ট্রাস্ট অ্যান্ড ট্রেড নামে দুটি কোম্পানিকে স্বাস্থ্য সনদ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে নিরাপদ খাদ্য আইন ও বিধি প্রবিধি সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফএসএর সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমদ।

কর্মশালায় জানানো হয়, বিশ্বে প্রতিবছর ১০ জনে একজন খাদ্যজনিত অসুস্থতায় ভোগে এবং ৪ লাখ ২০ হাজার জন মারা যায়। প্রতি তিনজনে এক শিশু মারা যায় খাদ্যজনিত অসুস্থতায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১৫ কোটি মানুষ অসুস্থ হচ্ছে এই কারণে, মারা যায় ১ লাখ ৭৫ হাজার, যার মধ্যে ৫০ হাজার শিশু।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ