নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা সমূহকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ বিকাল ৫ টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ফেসবুক পেইজে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের অবস্থান এবং জেলেদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের অবস্থান ১৭.০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৪০ কিঃমিঃ দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৬৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে। মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৭০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আম্ফান আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে,২০২০ শেষরাত হতে ২০ মে,২০২০ বিকাল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এ সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরোও জানিয়েছে, আজ শেষ রাতে এটি খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে আঘাত হানতে পারে। এ অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আরোও পড়ুন: আম্ফান: বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার, ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভবনা