মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এসময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, সব মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৪২.৭৭ লাখ মে.টন হবে।

আজ সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য ও তথ্য তুলে ধরেন।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের অধিক। কাজেই একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান র্সবোচ্চ। মাত্র ৯ বছরের ব্যবধানে এ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ।

২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৮ লক্ষ মে.টন, যা বৃদ্ধি পেয়ে বিগত ৯ বছরে প্রায় ৫ লক্ষ মে. টনে উন্নীত হয়েছে, যার র্বতমান বাজারমূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উদ্যোগের ফলেই মৎস্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়ায় দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছে।

তিনি জানান, এক্ষেত্রে ইলিশ মাছের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। বিশ্বে ইলিশের উৎপাদনে বাংলাদেশ যেমন প্রথমস্থানের অধিকারী তেমনই আমরা একাই ৭০-৭৫ ভাগ ইলিশ উৎপাদন করে থাকি। এ সময়ে সার্বিক মাছের উৎপাদনও ২৭.০১ লাখ মেঃ টন থেকে বেড়ে ৪১.৩৪ লাখ মেঃ টনে উন্নীত হয়েছে।

এটি ২০১৬-১৭ সালের উৎপাদন-লক্ষ্যমাত্রা ৪০.৫০ লক্ষ মেট্রিক টনের চেয়ে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি। তাই ২০১৭-১৮ সালে ইলিশের উৎপাদন যেমন ৫ লক্ষ টন ছাড়িয়ে যাবে তেমনই মাছে উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়ে ৪২.৭৭ লক্ষ মে.টন হবে বলে আশা করা যায়।

ইতোমধ্যে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নরিীক্ষা ও আইনানুগ কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের ভৌগোলিক নিন্ধন (জিআই সনদ) প্রদান করে।

বাংলাদশের জাতীয় মাছ ইলিশের ভৌগোলিক নিবন্ধন সম্পন্নের ফলে বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুণগত মানসম্পন্ন ইলিশ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে বাণিজ্যিকসহ অন্যান্য সুবধিা পাওয়া যাবে।

ইতির্পূবে ইলিশের কোনো ব্র্যান্ডিং ও ট্রেডমার্কও ছিল না। বিশ্বে ইলিশের ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশেই সর্বপ্রথম সম্পন্ন হয়েছে। ফলে বিদেশের ক্রেতারা এখন সহজেই বাংলাদেশি সুস্বাদু ইলিশ মাছ শনাক্ত করতে পারবেন।

সরকার স্থানীয় ও আর্ন্তজাতকি বাজারে ইলিশের ভ্যালু-অ্যাডেড পণ্যের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইলিশের স্যুপ, নুডলস ও পাউডার তৈরির প্রযুক্তি আবিস্কার করে ইতোমধ্যেই তা বাজারজাতও শুরু করেছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৮,৩০৫.৬৮ মে.টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি করে ৪২৮৭.৬৪ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৩২৪৩.৪১ কোটি টাকা।

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ শাহ আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।