ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চলতি মৌসুমে (২০২০-২১) মৌসুমে আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন আগের তুলনায় বেড়ে দুই কোটি টন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে জানায় মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (জিএআইএন) প্রতিবেদন। সেইসাথে আন্তর্জাতিক বাজারে রেকর্ড পরিমাণ বাড়তে পারে কৃষিপণ্যটির রফতানিও। খবর ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম ও এগ্রিমানি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ মৌসুমে আর্জেন্টিনায় সব মিলিয়ে ২ কোটি ২ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে। এর পেছনে বাড়তি আবাদ ও উৎপাদন প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। এবারের মৌসুমে দেশটিতে ৬৫ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়েছে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। এমনকি গত ১৩ মৌসুমের মধ্যে এবারই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি জমিতে গম আবাদ হচ্ছে।

বাড়তি আবাদের পাশাপাশি নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর চ্যালেঞ্জের ধাক্কা সামলে ২০২০-২১ মৌসুমে আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন আগের তুলনায় বাড়তে পারে। ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ মৌসুমে আর্জেন্টিনায় কৃষিপণ্যটির হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন তিন টন ছাড়িয়ে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্জেন্টিনা বিশ্বের দশম শীর্ষ গম উৎপাদনকারী দেশ। আগের মৌসুমে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এবার দেশটির কৃষকরা গম উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আবহাওয়া কৃষিপণ্যটি উৎপাদনের অনুকূলে রয়েছে। এসব কারণে এবারের মৌসুমে দেশটিতে গমের আবাদ ও উৎপাদন দুটোতেই রেকর্ড হতে যাচ্ছে।

গম রফতানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় আর্জেন্টিনার অবস্থান ষষ্ঠ। ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটির গম রফতানিতে চাঙ্গা ভাব দেখা যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএসডিএ। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ সময় আর্জেন্টিনার রফতানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৩৪ লাখ টন গম রফতানি করতে পারেন। দেশটির ইতিহাসে এটাই হবে কৃষিপণ্যটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানির রেকর্ড।

এর আগে ২০১৫-১৬ মৌসুমে আর্জেন্টিনা সব মিলিয়ে ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৫ হাজার টন গম রফতানি করেছিল বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। দেশটির ইতিহাসে এটাই কৃষিপণ্যটির সর্বোচ্চ রফতানির রেকর্ড। ২০১৮-১৯ মৌসুমে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৩০ লাখ টন গম রফতানি হয়েছে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। এর আগের মৌসুমে দেশটি মোট ১ কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার টন গম রফতানি করেছিল।

প্রতিবেদনে ইউএসডিএ জানিয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা আগামী দিনগুলোয় আর্জেন্টিনা থেকে গম রফতানি বাড়িয়ে দিতে পারে। এ সময় ব্রাজিলের বাজারে সবচেয়ে বেশি (প্রায় ৫০ শতাংশ) গম রফতানি করতে পারে দেশটি। এছাড়াও ২০২০-২১ মৌসুমে আর্জেন্টিনা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশে কৃষিপণ্যটির রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে।