ইউসুফ আলী সুমন, নওগাঁ প্রতিনিধি: চাল সংগ্রহে মিল মালিকদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আমন সংগ্রহ উপলক্ষে এক সভায় মিল মালিকরা মোট লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ (এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন) চাল সংগ্রহের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাক্ষান করেন মন্ত্রী।

বুধবার (২৫ নভেম্বর ২০২০) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।

সভা চলাকালীন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে সভাকক্ষের বাইরে যান চালকল মালিকরা। পরে তারা ফিরে এসে মোট লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ (এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন) চাল সংগ্রহের প্রস্তাব দেন তারা। এতে খাদ্যমন্ত্রী তাদের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই চালের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছিলাম। বাজারে ধানের দাম বেশি। বেশি দামে ধান কিনে চাল উৎপাদন করে গুদামে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ চাল গুদামে সরবরাহ করতে খাদ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বাজারে নতুন আমন ধানের দাম বেশি। গুদামে চাল সরবরাহ করতে যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে তা চলমান থাকলে মিল মালিকদের জন্য সুবিধা হবে। যখন ধানের বাজার স্বাভাবিক হবে তখন মিলাররা চাহিদামতো গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারবেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম, মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী, নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদবরণ সাহা চন্দন, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, খাদ্যবিভাগের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা ও মিল মালিক নেতৃবৃন্দ এবং সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে মিলারদের কাছ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে ছয় লাখ মেট্রিকটন চাল এবং ২৬ টাকা কেজি দরে কৃষকদের কাছ থেকে দুই লাখ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর আমন সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। ১৫ নভেম্বর চুক্তির শেষ সময় থাকলেও পরে মিল মালিকদের অনুরোধে ২৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ