নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রপ্তানিযোগ্য চিংড়িচাষের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা, দুর্বলতাসহ নানা কারণে উৎপাদন হ্রাস পাবার তথ্য তুলে ধরে অনতিবিলম্বে সরকারকে এদিকে নজর দেবার আহ্ববান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এমসয় অন্যথায় চিংড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রে ধ্বস নামার শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

রাজধানীর একটি হোটেলে ২৬ জুন (মঙ্গলবার) বিএফএফইএ ও বিপিসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “হিমায়িত চিংড়ি চাষবৃদ্ধি এবং আনুষাঙ্গিক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে সংশ্লিষ্টরা এসব কথা বলেন।

তারা বিগত চার বছরের হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানির নিম্নমুখী চিত্র দিয়ে বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের ৪৭ হাজার ৬৩৫ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানি হলেও ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৫১০ মিঃ ডলার মূল্যের ৪৪ হাজার ২৭৮ মেঃ টন, ৪৭২ মিঃ ডলারের ৪০ হাজার ২৭৬ হাজার মেঃ টন ও ৪৪৬ মিঃ ডলার মূল্যের ৩৯ হাজার ৭০৬ মেঃ টন।

এদিকে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেনর, দেশে শিগগিরই বিশ্বখ্যাত ভেনামি নামের সাদা চিংড়ি চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। এই সম্ভাব্যতা যাচাই করে বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি তার পরীক্ষামূলক চাষের ব্যবস্থা করা হবে, যেন চিংড়ি চাষে অন্যান্য দেশের সাথে আমরাও প্রতিযোগিতা করতে পারি।

তিনি বলেন, রপ্তানিযোগ্য চিংড়িমাছেও আমাদের অগ্রগতি অর্জন করা জরুরি। আমরা ইতোমধ্যে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি এগিয়েছি, ডিমেও আমাদের স্বয়ম্ভর হতে হবে।

সেমিনারে চিংড়িচাষের ওপর দুটি প্রবন্ধপাঠ করে মৎস্য অধিদফতরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক অফিসার চিত্তরনঞ্জন বিশ্বাস ও সাবেক উপপরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার। দেশি বাদাচিংড়ির চেয়ে ভেনামি চিংড়ির উৎপাদন খরচ ২০-৩০% কম থাকায় তারা দুনিয়ার অন্যান্য দেশের ন্যায় এটিকেও ব্যাপকভাবে চাষাবাদের ওপর জোর দেন।

বিএফএফইএ এর সভাপতি আমিল উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও কক্সবাজার-২ এর সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক। অন্যান্যের মধ্যে নৌ পরিবহণ সচিব আব্দুস সামাদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিঃ সচিব মুন্সী সফিউল হক উপস্থিত ছিলেন। ছবি: পিআইডি।